Howrah Domjur Case: দোষীদের গ্রেফতার ও কড়া শাস্তির দাবি, ডোমজুড়কাণ্ডে আসরে নামল জাতীয় মহিলা কমিশন
National Commission For Woman: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরির টোপ দিয়ে ডাক। তারপর বাড়িতে বন্দি রেখে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ। হাওড়ার এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে গোটা রাজ্য়ে।

কলকাতা: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরির টোপ দিয়ে বাড়িতে বন্দি রেখে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এবার সেই ঘটনারই জল গড়াল দিল্লি পর্যন্ত। ডোমজুড়কাণ্ডে এবার আসরে নামল জাতীয় মহিলা কমিশন (Howrah Domjur Case)। মঙ্গলবার, এক্স পোস্ট করে জাতীয় মহিলা কমিশন জানায়, ডোমজুড়কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের DGP রাজীব কুমারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের কড়া শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে সেই চিঠিতে।
আসরে নামল জাতীয় মহিলা কমিশন: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরির টোপ দিয়ে ডাক। তারপর বাড়িতে বন্দি রেখে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ। হাওড়ার এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছে গোটা রাজ্য়ে। এই ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত আরিয়ান খান ও তাঁর মা শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি। এই আবহে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করল জাতীয় মহিলা কমিশন। DGP-র কাছে অ্য়াকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে তারা। মঙ্গলবার, এক্স পোস্টে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্ন করতে রাজি না হওয়ায় ৬ মাস ধরে আটকে রাখা এবং লোহার রড দিয়ে মারধরের যে খবর সংবাদমাধ্য়মে সম্প্রচারিত হচ্ছে, তা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কমিশন এই বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রাজ্য়ের DGP-কে চিঠি লিখে, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার উপযুক্ত ধারায়, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি চেয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্যাতিতার জন্য় বিনামূল্য়ে চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্য়বস্থা করা হয়। ৩ দিনের মধ্য়ে কমিশনের কাছে বিস্তারিত অ্য়াকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে হবে।
একেবারে সাদামাটা বহুতলেরই ফ্ল্যাট থেকেই নাকি সফট্ পর্নচক্র চালাতেন অভিযুক্ত আরিয়ান খান ও তাঁর মা। অভিযোগ, সফট পর্ন ছবিতে অভিনয়ে রাজি না হওয়ায় এই বাড়িতেই আটতে রেখে, অকথ্য অত্যাচার করা হত উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার তরুণীর ওপর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই কাজে আপত্তি জানালে মাথায় নামত মিথ্যে অভিযোগের খাঁড়া। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত ফুলটুসির ফ্ল্যাটে যায় বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ। শ্বেতা খানের বিরুদ্ধে মারধরের পাশাপাশি চুল কেটে নেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছিলেন নির্যাতিতা, তার খোঁজেই ফ্ল্যাটের পিছনের জমিতে যান তদন্তকারীরা। চুলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এলাকায় এতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল ফুলটুসি? এই আবহেই সামনে এসেছে শ্বেতার সোশাল মিডিয়ার একাধিক ছবি। সেখানে, নিজেকে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে দাবি করা শ্বেতার প্রোফাইল জুড়ে। কখনও মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে, কখনও আবার ডোমজুড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এক ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।






















