(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Santanu Banerjee: শান্তনুর মোবাইল গ্যালারিতে নয়া ক্লু, নিয়োগ নিয়ে একাধিক চ্যাট ইডির হাতে
একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে চ্যাট করেছেন যুব তৃণমূল নেতা। শান্তনুর মোবাইল ফোনের গ্যালারিতেও মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য এবং সম্পত্তির হদিশ, এমনই দাবি ইডি-র।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর আত্মীয়দের সম্পত্তির তথ্য চেয়ে পাঠাল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর নাম, প্যান এবং আধার নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শান্তনু কোনও তথ্য গোপন করছেন কি না তা জানতেই এই উদ্যোগ। ইডি-র দাবি, বাজেয়াপ্ত করা শান্তনুর ২টি মোবাইল ফোন স্ক্যান করে নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে চ্যাট করেছেন যুব তৃণমূল নেতা। শান্তনুর মোবাইল ফোনের গ্যালারিতেও মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য এবং সম্পত্তির হদিশ, এমনই দাবি ইডি-র।
আরও কুকীর্তি? শুধু টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নয়, সরকারি কর্মীদের বদলিতেও টাকা নিতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee)। ইডি সূত্রে খবর, ধৃত যুব তৃণমূল নেতার (Arrested Youth TMC Leader) বাড়ি থেকে যে নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে তাতে বদলির সুপারিশের (Transfer Recommendation) চিঠিও পাওয়া যায়। সেখান থেকেই এমন জানা গিয়েছে।
কী জানা গিয়েছে?
ইডি সূত্রে খবর, সরকারি কর্মীদের বদলির জন্য মোটা অঙ্কের লেনদেন হত। তাতে লাভবান হতেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতাও। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, সরকারি কর্মীরা কোথায় বদলি হবেন, তার জন্য আলাদা আলাদা দর ঠিক করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন, কোটি কোটি কালো টাকা একটি সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। সংস্থাটি আড়াই বছর আগে তৈরি হয়েছিল। সংস্থার দুজন ডিরেক্টরের এক জন শান্তনুর স্ত্রী। আপাতত তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন, এই সংস্থা কী কাজ করত, কাদের কাদের টাকা দিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে দলীয় বেশ কিছু সদস্য শান্তনুর মাধ্যমে নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে শান্তনুর। এর উৎস কী? তদন্তকারীদের ধারণা, এর থেকে আরও বেশি সম্পত্তি শান্তনু রয়েছে। সেগুলিরও খোঁজ করছে ইডি।
প্রেক্ষাপট...
এখনও পর্যন্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনতলা বাড়ি থেকে ১৮০০ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাট, গেস্ট হাউস, রিসর্ট, ধাবার খোঁজ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। হুগলি জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাঁর এই সম্পত্তি, দাবি ইডি সূত্রের। এখনও পর্যন্ত ১০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। রয়েছে বেনামি সম্পত্তিও! প্রসঙ্গত, এদিনই চুঁচুড়ায় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নামে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে সম্পত্তি বৃদ্ধির উৎস নিয়ে আক্রমণ। গতকালই হুগলির একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরি-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তার পরদিনই এই পোস্টার। এনিয়ে লকেটের উদ্দেশ্য়ে আক্রমণ শানিয়েছেন অসিত। পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি লকেটও। চুঁচুড়ার বিধায়ক-সহ তাঁর পরিবারের বেলাগাম সম্পত্তি বৃদ্ধির উৎস কী? চুঁচুড়ার বিধায়ক, জবাব চাই...', ওই পোস্টারেই এমন লেখা হয়েছে। হুগলির চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড় এলাকায়, রবিবার সকালে দেখা যায় এমনই একাধিক পোস্টার। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে চুঁচুড়া বিধানসভার জনগণ। পোস্টারে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এরই মধ্যে, শুক্রবার গ্রেফতার হন বলাগড়ের আরেক যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। হুগলি জুড়ে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ED। এই প্রেক্ষাপটে, শনিবারই জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়।