কাটল নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো প্রকল্পের জট, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো লাইনের থমকে যাওয়া কাজ ফের শুরু হতে আর বাধা নেই।
![কাটল নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো প্রকল্পের জট, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের New Garia metro project problem has been solved, evicted residents will resettlement কাটল নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো প্রকল্পের জট, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/09/03/6087dba7a1d8871431d8060f2350c6bc_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজে জবরদখল তুলতে না পারায় এতদিন আটকে ছিল। মন্ত্রী সুজিত বসুর হস্তক্ষেপে অবশেষে জট কাটল। রেলের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনায় সমাধানসূত্র মিলেছে বলে সূত্রের খবর। যাঁরা উচ্ছেদ হবেন, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাজ্য করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
দু’বছর পর মেট্রো প্রকল্প এলাকায় জবরদখলের জট কাটল। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো লাইনের থমকে যাওয়া কাজ ফের শুরু হতে আর বাধা নেই। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড সূত্রে খবর, নিউটাউনের মহিষবাথান এলাকায় একটি ব্রিজের নীচে ২৭টি পরিবার সরকারি জমিতে ঝুপড়ি বানিয়ে বসবাস করছিল। তাদের উচ্ছেদ না করে যেহেতু মেট্রোর পিলার বসানো সম্ভব নয়, তাই নিউ গড়িয়া এয়ারপোর্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ ২ বছর আগে থমকে যায়।
উচ্ছেদ নিয়ে রেল ও রাজ্যের নীতির পার্থক্যের কারণেই এতদিন জট কাটেনি বলে সূত্রের খবর। রেলের নীতি হল, জবরদখলকারীকে তারা পুনর্বাসন দেবে না। অন্যদিকে রাজ্যের নীতি, পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।
অবশেষে রেল-রাজ্যের আলোচনায় জট কাটল। যাঁরা উচ্ছেদ হবেন, রাজ্য সরকার তাঁদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যার সমাধান হয়েছে। এবার ওই অংশের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা হবে। বিধাননগর পুরসভা তরফে প্রকল্প এলাকার কাছেই উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আটকে আছে জোকা বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজও। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা RBNL সূত্রে খবর, মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মাটির নীচে তিনটি স্টেশন তৈরির অনমতি এখনও দেয়নি সেনা। এর ফলে ওই এলাকায় সুড়ঙ্গ খুঁড়তে টানেল বোরিং মেশিন নামানো যাচ্ছে না।
সেই অনুমতি চেয়ে এবার RBNL কর্তৃপক্ষ আবেদন করল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সূত্রে খবর, কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সেনাকে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)