Kali Puja 2022: আলোর উৎসবে নয়া উদ্যোগ, কালীপুজোয় বিশেষ ভাবনা লেক প্লেস অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ ক্লাবের
Kolkata Kali Puja 2022: আলোর উৎসবে ওদের মুখেও দীপের আলো। কলকাতার লেক প্লেস অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ ক্লাবের কালীপুজো অন্য মাত্রা পেল শারীরিকভাবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের উপস্থিতিতে।
সুমন ঘড়াই, কলকাতা: কলকাতার লেক প্লেস অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ ক্লাবের কালীপুজোর (Kali Puja 2022) সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। শক্তি আরাধনার পাশাপাশি প্রায় দেড়শো জন শারীরিকভাবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্যোগ নিয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বসে আঁকো, ম্যাজিক শোয়ের (Magic Show) পাশাপাশি ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন।
মুখে হাসি ফোটানোর উদ্যোগ: কখনও খাতার ওপর ঝুঁকে পড়ে আঁকিবুকি। চকচকে চোখে কখনও আবার ম্যাজিক দেখার উৎসাহ। আলোর উৎসবে ওদের মুখেও দীপের আলো। কলকাতার লেক প্লেস অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ ক্লাবের কালীপুজো অন্য মাত্রা পেল শারীরিকভাবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের উপস্থিতিতে। শক্তি-আরাধনার ৫০তম বর্ষে তাঁদের মণ্ডপ যেন হয়ে উঠল প্রতিভা আর সৃজনশীলতার দর্পণ। অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ ক্লাবের কালীপুজোর (Kali Puja 2022) সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ।
কেন এই উদ্যোগ? বছরভর যাঁরা আনন্দ, জনসমাগম থেকে কয়েক যোজন দূরে। এবার তাঁদের নিয়েই খুশির নৌকা ভাসালেন পুজো-উদ্যোক্তারা।বসে আঁকো, ম্যাজিক শোয়ের পাশাপাশি, প্রায় দেড়শো জন শারীরিকভাবে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশু, কিশোর-কিশোরীদের জন্য ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। লেক প্লেস অ্যাডভেঞ্চার বয়েজ ক্লাবের কর্মকর্তা নরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “বাড়িতেই থাকে, সেভাবে মিশতে পারে না। পুজোর খরচ থেকে কাটছাঁট করে এই কাজ।’’ সাবেকী প্রতিমা, মণ্ডপ জুড়ে নানা রঙের আলো। তার মধ্যেও যেন অন্য আরেক দীপের আলো জ্বেলে দিল বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সহ নাগরিকরা।
এদিকে একই মন্দিরে তিন-তিনটি কালী মূর্তি বীরভূমে। বিসর্জনের দিন মায়ের পায়ে দেওয়া আলতা, সিঁদুরে নিজেদের রাঙিয়ে নেন গ্রামবাসীরা। বীরভূমের লাভপুরের দোনাইপুরে কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা কাহিনি। মা কালীর তিন বোন। কেউ বড়মা, কেউ ট্যাবা কালী, কেউ আবার বিশ্বেশ্বরী রূপে পূজিত হন। এভাবেই বীরভূমের লাভপুরের দোনাইপুর গ্রামে একই মন্দিরে তিন কালীর পুজো হয়। মাঝখানে প্রায় ২৬ ফুট উঁচু কালীমূর্তি, তিনি পরিচিত বড়মা হিসেবে। তাঁর বাঁ পাশে ট্যাবা কালী। আর ডান দিকে মা বিশ্বেশ্বরী। দু’জনের উচ্চতা ১২ ফুট। কথিত আছে, প্রায় আড়াইশো বছর আগে গ্রামের জমিদার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাত ধরে কালীপুজোর সূচনা হয়।
বর্তমানে পুজোর দায়িত্ব চক্রবর্তী পরিবারের হাতে। জনশ্রুতি, যাঁর হাত ধরে পুজো শুরু, তিনি দেখতে পেতেন না। দেবীর এমনই মাহাত্ম্য যে, কালীপুজোর দিন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতেন ওই পূজারী। ধীরে ধীরে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে সেই কাহিনি। এখানে কালীপুজো চলে একসপ্তাহ ধরে। বিসর্জনের দিন মায়ের পায়ে দেওয়া আলতা, সিঁদুরে নিজেদের রাঙিয়ে নেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: Belur Math News: বরণ শেষ, রীতি মেনে আজ বেলুড় মঠের শ্যামা প্রতিমার নিরঞ্জন