New Year Preparation: দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে ওমিক্রন আতঙ্ক, উৎসবের মরসুমে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন
New Year Preparation: শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের (New Year ) কাউন্টডাউন। ভিড় বাড়ছে রাতের কলকাতায়। এই সময় ঝুঁকি থাকে দুর্ঘটনারও (Accident)।যান বাহনের বেপরোয়া গতির খেসারত দিতে হয় প্রাণের বিনিময়ে।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বর্ষশেষ (End of the Year) ও বর্ষবরণের (New Year) উৎসবে দুর্ঘটনায় লাগাম টানতে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ (Police)। জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner)। পাশাপাশি ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে সচেতনতা অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের কাউন্টডাউন। ভিড় বাড়ছে রাতের কলকাতায়। এই সময় ঝুঁকি থাকে দুর্ঘটনারও (Accident)। যান বাহনের বেপরোয়া গতির খেসারত দিতে হয় প্রাণের বিনিময়ে। গত ২৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে আরও। সেদিন বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মোটরবাইক আরোহী একই পরিবারের তিনজনের। বর্ষশেষের রাতে যেন এমন ঘটনার সাক্ষী যাতে না হয় তিলোত্তমা, এখন থেকেই তার ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। উৎসবের মরসুমে চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রনও। ইতিমধ্যেই বাংলার ৬ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
বড়দিন থেকে বর্ষবিদায়ের সেলিব্রেশন। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের ফেস্টিভ্যালে বহু জায়গাতেই ঘুচেছে শারীরিক দূরত্ববিধি। বারবার ধরা পড়ছে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের ছবি। পরিস্থিতি দেখে চিন্তিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাইকে সতর্ক করছেন।এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। এদিকে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ময়দানের ক্লাবগুলিকে নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল কলকাতা পুলিশ। এদিন সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ কমিশনার।
উল্লেখ্য, একদিকে ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্ক, অন্যদিকে উৎসবের মরসুমে কোভিড নিয়মনীতিকে (Covid Regulations) তোয়াক্কা না করা। দুইয়ে মিলে উদ্বেগে আবহ। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তার ওপর চিন্তার ভাঁজ যেন কিছুটা বাড়ল। সোমবারের থেকে একলাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের দৈনিক করোনা (Corona) সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের মঙ্গলবারের (২৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। এই সময়পর্বে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।