Newtown Case Update অবশেষে টনক নড়ল, নাবালিকাকে খুন-ধর্ষণের পর বদলে গেল নিউটাউনের অন্ধকার ছবি
Newtown News: প্রদীপের নীচে থাকা অন্ধকারের মতো, সেই নিউটাউনের নিরাপত্তাতেই একটা বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন বসিয়ে দিয়েছে নাবালিকাকে খুন-ধর্ষণের ঘটনা।

কলকাতা: অবশেষে টনক নড়ল। নিউটাউনে (Newtown) নাবালিকাকে খুন-ধর্ষণের ঘটনার পর একদিকে যেমন ই-রিকশ ও টোটোচালকদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিধাননগর কমিশনারেট। তেমনই রাতারাতি বদলে গেল নিউটাউনের অন্ধকার ছবিটা। এদিন দ্বিতীয়বার ঘটনাস্থলে আসেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা।
নিউটাউনের অন্ধকার ছবি: প্রদীপের নীচে থাকা অন্ধকারের মতো, সেই নিউটাউনের নিরাপত্তাতেই একটা বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন বসিয়ে দিয়েছে নাবালিকাকে খুন-ধর্ষণের ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটে, বুধবার একদিকে যেমন ই-রিকশ ও টোটোচালকদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিধাননগর কমিশনারেট। তেমনই রাতারাতি বদলে গেল নিউটাউনের অন্ধকার ছবিটা। গোটা নিউটাউন কার্যত CC ক্যামেরায় মোড়া। কিন্তু যেখান থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, রাতে সেই জায়গাটি কার্যত জনশূন্য থাকে। পোস্ট থাকলেও, তাতে আলো জ্বলে না। নেই সিসি ক্যামেরাও।
এবিপি আনন্দে এই ছবি সম্প্রচারিত হওয়ার পর বুধবার দেখা যায়, অনেকটাই পাল্টে গেছে ছবিটা। নিউটাউনের দিকে দিকে আগাছা পরিষ্কার করা হচ্ছে। জ্বলছে আলো, এদিন দ্বিতীয়বার ঘটনাস্থলে আসেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা। কাটাতারের রেলিং-এর উচ্চতার পাশাপাশি, রেলিং থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মেপে দেখেন তাঁরা।
এদিকে নিউটাউনের মতো জায়গায় হাড়হিম করে দেওয়ার মতো ঘটনার পর, অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের। এবার ই-রিকশ ও টোটোচালকদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিধাননগর কমিশনারেট।
পুলিশ সূত্রে দাবি,
- এবার থেকে ই-রিকশ ও টোটো চালকদের নাম-ঠিকানা-সহ সচিত্র পরিচয়পত্র স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে।
- প্রত্যেকের নাম নথিভুক্ত করতে হবে পুলিশের কাছে।
- সেইসব তথ্য যাচাই করবে পুলিশ।
- অপরাধে জড়িত থাকার কোনও পূর্ব ইতিহাস কারও রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
- পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর, সব কিছু ঠিক থাকলে মিলবে টোটো বা ই-রিকশ চালানোর ছাড়পত্র।
- টোটো বা ই-রিকশ চালকদের পুলিশের তরফে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যার একটি কপি টোটোর গায়ে সাঁটা থাকবে।আরেকটি কপি পুলিশের কাছে. এবং তৃতীয় কপিটি জমা থাকবে পরিবহণ দফতরে।
কিন্তু কেন এই নির্দেশিকা? পুলিশ জানিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন না থাকায় অনেকেই বাইরে থেকে এসে ভাড়া নিয়ে থাকছেন এবং টোটো বা ই-রিকশ চালাচ্ছেন। কোনও অপরাধ করে পালিয়ে গেলে তাঁদের সম্পর্কে কোনও তথ্য পুলিশের কাছে থাকছে না। এই সমস্ত ক্ষেত্রে টোটো চালক বা ই-রিকশ চালকদের দ্রুত শনাক্ত করতেই এই ব্যবস্থা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC Case: 'সন্দেহজনক নিয়োগ' সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারী






















