(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Nimtala Ghat: সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি, মৃতদেহ সত্কারে এসে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন ৫ যুবক
অভিযোগ, তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয়রা সতর্ক করা সত্ত্বেও ঘাট থেকে সরে আসেননি। উত্তর বন্দর থানার দাবি, বান আসার আগে পুলিশের তরফে নিয়মমাফিক সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছিল।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: মৃতদেহ সত্কারে এসে নিমতলা ঘাটে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন পাঁচ যুবক। গতকাল রাতের ঘটনা। স্থানীয়দের তত্পরতায় দু’ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশির পরেও তিন যুবকের খোঁজ মেলেনি। সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি, দাবি পুলিশের। পাঁচজনই বেলেঘাটার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে গঙ্গায় বান আসার সময় ঘাটে বসে গল্প করছিলেন পাঁচ যুবক। অভিযোগ, তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয়রা সতর্ক করা সত্ত্বেও ঘাট থেকে সরে আসেননি। উত্তর বন্দর থানার দাবি, বান আসার আগে পুলিশের তরফে নিয়মমাফিক সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই দুর্গাপুজোর বিসর্জনে জলপাইগুড়িতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। তবু যেন হুঁশ ফেরেনি। মালবাজারের ঘটনায় হড়পা বানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মালবাজারে ঘটনাস্থলে যায় বিজেপির ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল। বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নদীর গতিপথ ঘোরানো হয়েছে। ব্রিজের পিলারের ২০০ মিটারের মধ্যে কিছু খনন করা যায় না। কিন্তু এখানে তাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন এক সাংসদ, ৭ বিধায়ক ও জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি।
মালবাজারের বাসিন্দা দিলীপ পণ্ডিত হড়পা বানে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে হারিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে যান বিজেপির প্রতিনিধিরা। তিনি বিজেপির নেতাদের দেখে কেঁদে ফেলেন। এরপর বিজেপি প্রতিনিধিরা যান হড়পা বানে মৃত রুনু সাহার বাড়িতে। সেখানে মৃতের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। হড়পা বানে তপন অধিকারী ও মনোজিত্ অধিকারীর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তাঁরা দাদু ও নাতি। তাঁদের বাড়িতেও যান বিজেপির নেতারা। এরপর মালবাজার থানায় যান বিজেপির প্রতিনিধিরা।
মালবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দায় কার? এই বিতর্ক আরও উস্কে দিল অল বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষের একটি দাবি। এই নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এরইমধ্যে, উত্তরবঙ্গে নতুন ঘরে ঘনাচ্ছে দুর্যোগের মেঘ। আগামী-২-৩ দিন রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
উৎসবের আনন্দে অন্ধকার নামিয়ে এনেছে হড়পা বান! বিসর্জনের বিষাদ আরও গভীর করে তুলেছে ৮ জনের মৃত্যু। কিন্তু এই বিপর্যয়ের দায় কার?মালবাজারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পরে, পদে পদে আঙুল উঠছে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দিকে। বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে অল বেঙ্গল সিভিল ডিফেন্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষের একটি দাবি।
মালবাজারে বিপর্যয়ের পর, নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে, বিসর্জনের সময় কেন মাত্র ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী-কে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল?
যেখানে এত মানুষের ভিড় হয়, সেখানে কেন আগে থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি? সত্যিই কি ৮ জনের পক্ষে এত মানুষের ভিড় সামলানো সম্ভব ছিল?
এ দিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ছিল, ২ থেকে ৩ দিন, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তাই তিস্তা এবং জলঢাকা অববাহিকায় জারি হয়েছে হলুদ সঙ্কেত। শনিবারও মাল নদীতে ফের হড়পা বান আসে...তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি
এই প্রেক্ষাপটেই ছটপুজোর আগে এদিন মাল নদীর পরিস্থিতি, খতিয়ে দেখেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি।