Nisith Pramanik: বহু নেতা-বিধায়ক যোগাযোগ করছেন, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল, দাবি নিশীথের
Cooch Behar News: এর আগে, শনিবার কাঁথির সভা থেকে বিজেপি-র অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক।
নাটাবাড়ি: তৃণমূল একবার দরজা খুলে দিলেই হল (TMC), বিজেপি-র (BJP) আর অস্তিত্ব থাকবে না, একদিন আগে এমনই মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার পাল্টা এ বার তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে (Nisith Pramanik)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ৪০-৫০ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যে কোনও মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো তৃণমূল ভেঙে পড়তে পারে বলেও দাবি করেন নিশীথ।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল, হুঁশিয়ারি নিশীথের
রবিবার নাটাবাড়ির সভায় এমন দাবি করেন নিশীথ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "প্রদীপ নেভার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে, তৃণমূলের সময়টাও এখন একই রকম। গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি, গোটা রাজ্যের যা অবস্থা, তৃণমূলের সংগঠনের যা অবস্থা, বহু বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বহু নেতা যোগাযোগ রাখছেন আমাদে সঙ্গে। একটা তাসের ঘরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে।"
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন অভিষেক, একদিন পরই ইস্তফা তিন আধিকারিকের
এর আগে, শনিবার কাঁথির সভা থেকে বিজেপি-র অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক। বার বার বিজেপি নেতারা যে ভাবে ডিসেম্বরের ডেডলাইন ঠিক করে দিচ্ছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, "এই যে বলছে ডিসেম্বর ধামাকা, সরকার পড়ে যাবে, আপনি জানেন, আমি দরজা যদি খুলে দিই, দলটা থাকবে না। বলুন দরজা খুলব! মনে হয় মাঝে মধ্যে একটু খুলি। আগামী সপ্তাহে না পাঁচ সেকেন্ডের জন্য খুলি! ডিসেম্বর মাসে খুলব! বেশ তাই হল।"
দরজা খুলে দিলে বিজেপি থাকবে না বলে একদিন আগেই মন্তব্য করেন অভিষেক
অভিষেকের সেই মন্তব্যের পরই এ দিন নাটাবাড়িতে তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে মন্তব্য করেন নিশীথ। তবে তাঁর দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জোড়াফুল নেতৃত্ব। দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর কথায়, "ও তো কোনও দিনই সত্য়ি কথা বলেনি! সোনার দোকানে ডাকাতি নিয়েও সত্য বলেনি। আজালতের অর্ডারের মধ্যে দিয়ে সকলে জানল। আমরা আগেই জানতাম। যোগ্যতা নিয়েও মিথ্যে বিবৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এসেছে না, সত্যি সত্যিই কোচবিহারের আদি বাসিন্দা, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ওর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। আমরা দিচ্ছিও না। কোচবিহারে ওকে দাঁড় করানোর সাহস আদৌ হবে বিজেপি-র!"