Kunal Ghosh:'মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে হয়নি,' বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে মন্তব্য কুণাল ঘোষের
Parking Fee:গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতায় আরও দামি হয়েছে পার্কিং ফি। দু চাকা থেকে চার চাকা, বাস থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে পার্কিং ফি।
কলকাতা: 'পার্কিং ফি (Parking Fee) বৃদ্ধি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে হয়নি। তাঁরা জানতেন না এই ধরনের চাপ মানুষের ওপর পড়তে চলেছে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।' পার্কিং ফি নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সিদ্ধান্ত যে স্তরে বা যাঁরাই নিয়ে থাকুন, সরকার বা দল অনুমোদন করে না। মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না, মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আমজনতার ওপর যেন চাপ না বাড়ানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন, পুরসভা যেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। মেয়রকে মুখ্যমন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত আজকের মধ্যেই পুরসভাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে যে পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর যেন কোনও চাপ না পড়ে।'
বর্ধিত হারে পার্কিং ফি: গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতায় আরও দামি হয়েছে পার্কিং ফি। দু চাকা থেকে চার চাকা, বাস থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে পার্কিং ফি। আগে যেখানে প্রতি ঘণ্টায় মোটরবাইক রাখার জন্য় দিতে হত ৫ টাকা, এখন, সেখানে, প্রথম-দু-ঘণ্টার জন্য় ১০ টাকা। তিন ঘণ্টা রাখলে ৪০ টাকা। ৪ ঘণ্টার জন্য় ৬০ টাকা। ৫ ঘণ্টার জন্য় ৮০ টাকা। আর ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে, তারপর ঘণ্টা পিছু দিতে হবে ৫০ টাকা করে। চারচাকা গাড়ির ক্ষেত্রে আগে ঘণ্টায় ১০ টাকা পার্কিং ফি দিতে হত। এবার প্রথম দু ঘণ্টার জন্য় ২০ টাকা। তিন ঘণ্টায় ৮০ টাকা। ৪ ঘণ্টায় ১২০ টাকা, ৫ ঘণ্টায় ১৬০ টাকা এবং তারপর ঘণ্টা পিছু অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে।
পুরসভা সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সময় গাড়ি পার্কিং লটে রাখার প্রবণতা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। শুধু ২ চাকা বা চার চাকার ক্ষেত্রেই নয়। বাস ও পণ্য়বাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও বেড়েছে পার্কিং চার্জ। বাস বা লরি রাখার জন্য় আগে যেখানে ঘণ্টাপিছু পার্কিং ফি ছিল ২০ টাকা। সেটা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। ৪ ঘণ্টা বাস বা লরির জন্য় এবার থেকে দিতে হবে ২৪০ টাকা। ৫ ঘণ্টায় ৩২০টাকা। ৫ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিছু অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে। পুর কর্তাদের অনুমান, পার্কিং ফি বৃদ্ধির ফলে, যে বিপুল পরিমাণ গাড়ি রাস্তায় বের হয়, তার সংখ্য়া কিছু হলেও কমবে। বাতাসে দূষণের মাত্রাও কমবে।