Duttapukur Incident: জামিন পাওয়ার পরেও ফের বেআইনি বাজির কারবার! দত্তপুকুর বিস্ফোরণে সপুত্র নিহত কেরামত আলি
Keramat Ali : জামিন পাওয়ার পর ওই এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বেআইনি কারবার শুরু
পার্থপ্রতিম ঘোষ, দত্তপুকুর : এগরা বিস্ফোরণের (Egra Incident) অ্যাকশন রিপ্লে দত্তপুকুরে ! দত্তপুকুর বিস্ফোরণে (Duttapukur Illegal Firecracker Factory Incident) ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ছেলে-সহ নিহত বেআইনি বাজির কারবারি কেরামত আলি। এগরাকাণ্ডের পর রাজ্যজুড়ে পুলিশি তল্লাশিতে গ্রেফতার হয়েছিলে দত্তপুকুরের এই কেরামত আলি। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরও কীভাবে ফের বেআইনি বাজির কারবার চালাচ্ছিল কেরামত আলি ? পুলিশি নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আবারও সেই নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন। গ্রেফতার হয়েছিল এই কেরামত আলি। এগরাকাণ্ডের পর রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়। বেরুনান পুকুরিয়া এলাকায় ব্যবসা করছিল কেরামত। এখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কেন ? কারণ, ২০২১ সালের পর থেকে এই কেরামত আলি বেআইনিভাবে কারখানা চালাচ্ছিল। ২০২১-এর পর তার লাইসেন্স রিনিউ পর্যন্ত হয়নি। গ্রেফতারির পর জামিনে ছাড়াও পেয়ে যায় কেরামত। জামিন পাওয়ার পর ওই এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বেআইনি কারবার শুরু করেছিল সে। জনবহুল এলাকায় বাজি কারখানা করে বাজি মজুত শুরু করে। যার জেরে আজ একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশি নজরদারি নিয়ে। এদিকে ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হাজির হন ফরেন্সিক আধিকারিকরা। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করছেন।
ঘটনা কী ?
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। সাড়ে ৩ মাসের মধ্যেই ফের বেআইনি বাজি কারখানার মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে মৃত্যুমিছিল। রবিবার সকালে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল। ঘটনাস্থল দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকা। জগন্নাথপুর-নারায়ণপুর রাস্তার পাশে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি একতলা-দোতলা পাকা বাড়ি। তারই মধ্যে একটি একতলা বাড়িতে চলত বেআইনি বাজির কারখানা। হঠাৎ তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। উড়ে যায় একতলা বাড়িটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তার ২ পাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি।
আরও পড়ুন ; "লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চোরদের বাঁচাতে ব্যস্ত", দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর
বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে কেঁপে ওঠে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের বারাসত শহরও। বিস্ফোরণের পরই উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে বাজি কারখানা চালাতেন স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলকর্মী সামসুল আলি এবং তৃণমূল নেতা আজিবর রহমান।
আরও পড়ুন ; '৬ মাসের শিশুর মৃত্যু হয়েছে, পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর', তীব্র আক্রমণ কৌস্তভের