Sodepur Shootout:দশমীর রাতে শ্যুটআউট সোদপুরে, পায়ে গুলি লেগে জখম যুবক
North 24 Parganas:পুজোর শেষ দিনে হঠাৎ শ্যুটআউট, তীব্র আলোড়ন উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। নির্দিষ্ট করে বললে, দশমীর রাতে সোদপুরে শ্যুটআউটের একটি ঘটনা ঘটে।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পুজোর শেষ দিনে হঠাৎ শ্যুটআউট, তীব্র আলোড়ন উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। নির্দিষ্ট করে বললে, দশমীর রাতে সোদপুরে শ্যুটআউটের একটি ঘটনা ঘটে। ১ যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।
কী ঘটেছে?
এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে, ওই যুবককে লক্ষ্য করে অন্তত ৩ জনের একটি দল গুলি চালিয়েছিল। সোদপুরের নন্দনকাননে দশমীর রাতে এহেন ঘটনায় এলাকাজুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যুবকের
ডান পায়ে গুলি লাগে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আপাতত তিনি সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু কেন তাঁর উপর এই হামলা চলল? কারাই বা এর নেপথ্যে? আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করা হল কী ভাবে? এ সব নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এর মধ্যই। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে। কখনও গুলিচালনা, কখনও আবার বোমা উদ্ধারের কারণে নানা সময়ে খবরের শিরোনামে থাকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লাগোয়া এই জেলা। গত জুলাইয়েই যেমন, বসিরহাট স্টেশনের কাছে এক শ্যুটআউটের ঘটনাতেই এক জনের প্রাণ গিয়েছিল। সে বার এক দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আচমকা গুলি করে দুষ্কৃতীদের আর একটি দল। গুরুতর আহত অবস্থায় জখম শম্ভুনাথ গায়েনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আর এক জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
এর কয়েক মাস আগে, গত মার্চে উত্তর ২৪ পরগনারই অশোকনগর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে, একটি স্কুলের কাছে পড়ছিল বোমা ভর্তি ব্যাগ। সাতসকালে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সে বার স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা মজুত করা হচ্ছে। এ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানাও করেন তাঁরা। পাল্টা বহিরাগতদের ঘাড়ে দায় চাপায় শাসকদল। এতেই শেষ নয়। গত মে মাসে,উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তেঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ব্যাগ ভর্তি বোমা পড়ে থাকার খবর তুমুল শোরগোল ফেলে দেয়। কালভার্টের নীচ থেকে উদ্ধার হয় ৮টি তাজা বোমা। এভাবে স্কুলের সামনে বোমা পড়ে থাকায়, আতঙ্ক ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। প্রশ্ন হচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনা কেন প্রায় নিয়মিত জেলা জুড়ে কখনও বোমা উদ্ধার, কখনও আবার শ্যুটআউটের খবর শোনা যায়? প্রশাসন কি যথেষ্ট সতর্ক নয়? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?