APC College Chaos: ফি-বৃদ্ধির প্রতিবাদে পড়ুয়া বিক্ষোভে ধুন্ধুমার এপিসি কলেজ
ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। আর তারওপরেই হামলার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউ ব্যারাকপুরের এপিসি কলেজ চত্বর। আচমকাই আন্দোলনকারীদের দিকে তেড়ে গেলেন কয়েকজন যুবক।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফি-বৃদ্ধির (College Fee) প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ (Student Protest) ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউ ব্যারাকপুরের এপিসি কলেজ (APC College)। অভিযোগ আন্দোলনকারীদের মারধর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে এসএফআই (SFI) গন্ডগোল বাধায় বলে পাল্টা দাবি টিএমসিপির (TMCP)।
ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। আর তারওপরেই হামলার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউ ব্যারাকপুরের এপিসি কলেজ চত্বর (APC College)। আচমকাই আন্দোলনকারীদের দিকে তেড়ে গেলেন কয়েকজন যুবক। কেড়ে নেওয়া হল ব্যানার। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াকে দেওয়া হল ঘাড়ধাক্কা। জুটল শাসানি। যা নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে বচসাতেও জড়ালেন পড়ুয়াদের একাংশ।
ফি-বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার কলেজ চত্বরে চলছিল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ (Student Protest)। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা।
নিউ ব্যারাকপুর এপিসি কলেজের বিক্ষোভকারী ছাত্রী সায়নী পালের দাবি, কলেজের থেকে সাহায্য না পেয়ে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হই। ইউনিয়নের ছেলেরা এসে আমাদের ছেলেদের গায়ে হাত তোলে। মহিলাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল কথা বলা হয়। প্রিন্সিপাল আমাদের কথা শোনেননি। উনি ইউনিয়নকে সাপোর্ট করছেন
এই বিক্ষোভের নেপথ্যে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI-এর হাত দেখছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এপিসি কলেজের টিএমসিপি নেতা সুমন দের কথায়, এসএফআইয়ের মদতে জনা পাঁচ ছজন গন্ডগোল করে। এর মধ্যে একজন পালিয়ে গেল, আমাদের ছাত্র নয়। কিছু এসএফআইয়ের লোক এসে অশান্তি করতে চাইছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ উড়িয়ে, অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। আরেক বিক্ষোভকারী ছাত্র অভিরূপ পালের কথায়, ইউনিয়নের ছেলেরা গায়ে হাত দেয়। আমাদের রাজনৈতিক রং লাগিয়ে দিচ্ছে। প্রিন্সিপাল কথা না বলে দেখছি।ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
এপিসি কলেজের অধ্যক্ষ শক্তিব্রত ভৌমিক জানিয়েছেন, ওদের মধ্যে কথা কাটাকাটি, মারধর দেখিনি। আমি দুদিন দেখা করেছে, কথা বলেছি। অভিযোগের ভিত্তি নেই। বেশ কিছুক্ষণ অশান্তি চলার পর নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।