Basirhat: সততার নজির বসিরহাটের টোটো চালকের, ফিরিয়ে দিলেন সোনার গয়না
Basirhat Toto Driver Honesty: বসিরহাটের (basirhat) চকফারাসাতপুর এলাকায় বাড়িতে ফেরার জন্য বসিরহাটের (basirhat) চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার সামনে থেকে টোটোয় ওঠেন ওই রিম্পা।
সমীরণ পাল, আব্দুল ওয়াহাব, বসিরহাট: ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়না ফেলে যাওয়া যাত্রীকে ফেরত দিয়ে সততার নজির গড়ল টোটো চালক সুজিত ভট্টাচার্য। গত সোমবার মাটিয়া থানার সাংবেড়িয়া গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন রিম্পা মণ্ডল। বসিরহাটের (basirhat) চকফারাসাতপুর এলাকায় বাড়িতে ফেরার জন্য বসিরহাটের (basirhat) চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার সামনে থেকে টোটোয় ওঠেন ওই রিম্পা। বাড়ির কাছে এসে শিশুকে নিয়ে তিনি টোটো থেকে নেমে পড়েন। টোটোতে (toto) পড়ে থাকে তার হাতে থাকা ব্যাগটি। বসিরহাট (barsirhat) চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা টোটো চালক সুজিত ভট্টাচার্য বাড়িতে ফিরে দেখেন টোটো তে পড়ে আছে একটি ব্যাগ। তিনি তা নিয়ে তাদের টোটো ইউনিয়নে জমা দেন। ব্যাগটি খুলে দেখা যায় যে তার ভিতরে বেশ কিছু সোনার গহনা আছে। আনুমানিক সোনার গহনার মূল্য আড়াই লক্ষ টাকার উপরে। এরপরই টোটো ইউনিয়নের তরফ থেকে বসিরহাট থানায় যোগাযোগ করা হয়। বসিরহাট থানার পক্ষ থেকে ওই যাত্রীকে খুঁজে বের করে তার হাতে এদিন ব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও সোনাদানা তুলে দেওয়া হয়। নিজের গয়না খুঁজে পেয়ে রিম্পা মন্ডল পুলিশ ও টোটো চালককে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে একটি খবরে বিধাননগরে পুরনো বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক বৃদ্ধের লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। গ্রেফতার আরও এক। অভিযুক্ত ঈশ্বর চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সল্টলেকের বাসিন্দা ৬৮ বছরের বৃদ্ধ জয়ন্ত ভট্টাচার্য বিধাননগর দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, একটি প্রাইভেট সংস্থার পুরনো লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসির টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার সূত্রে সঞ্জু সিকদারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। সে নিজেকে ওই সংস্থার কর্মী হিসাবে পরিচয় দেয়। সঞ্জু বৃদ্ধকে তাঁর পলিসির টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর সাথে সাথে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে আরও ১৭টি অন্য সংস্থার পলিসি করিয়ে নেয়।
জয়ন্তবাবু বিষয়টি বুঝতে পেরে সেই পলিসি বন্ধের জন্যে বাগুইহাটি এলাকার বাসিন্দা ঈশ্বর চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঈশ্বর চন্দ্র পুরো বিষয়টি জেনে পুরনো পলিসি এবং নতুন পলিসির টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বৃদ্ধের থেকে বারংবারে মোট ৬৮ লক্ষ টাকা নেয় বলে অভিযোগ।