North 24 Parganas: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার স্বরূপনগরে, চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী, বলছে পরিবার
Body Of An Anganwadi Worker Found Hanging: স্বরূপনগরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম তোলা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্বরূপনগরে (swarupnagar) অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর (ICDS employee) ঝুলন্ত দেহ (hanging body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম তোলা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তা নিতে না পরেই আত্মঘাতী (suicide) হয়েছেন রেবা বিশ্বাস রায় নামে ওই ICDS কর্মী।
কী ঘটেছে?
পরিবার সূত্রে খবর, এদিন বাড়ির পিছন থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই অঙ্গলওয়াড়ি কর্মীর। অভিযোগ, আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম তোলা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সমীক্ষায় গিয়ে হুমকিও পান ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই বছর ৪৯-এর রেবা বিশ্বাস রায় আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। স্বরূপনগর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ICDS কর্মীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। গোটা ঘটনায় এদিন সকালে স্বরূপনগরের বিডিও অফিসের সামনের সামনে পথ অবরোধ করে বিজেপি।
কী বললেন বিডিও?
বিডিও কৃষ্ণগোপাল ধাড়ার অবশ্য দাবি, তিনি এখনও কোনও অভিযোগ পাননি। তবে প্রাথমিক ভাবে খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁদের বাড়ি পাওয়ার কথা তাঁদের এলাকা ধরে সমীক্ষা চলছে। সেই সমীক্ষার কাজেই যুক্ত ছিলেন রেবা বিশ্বাস। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কোনও কিছু পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন বার বার হুমকির মুখে পড়ার অভিযোগ আনছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা?কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। তিনি লিখিত কমপ্লেনও দায়ের করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রেবা বিশ্বাস রায়ের তরফে কোনও অভিযোগ আসেনি। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শেষ দিকেই বাঁকুড়ার ইন্দপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সুদের কারবার নিয়ে বচসার জেরেই খুন করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সত্যি কি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণের জেরে খুন? খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। গত জুনে আবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল মালদার মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। যদিও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন:'এটা ওনার মস্তিষ্ক প্রসূত নয়', পার্থ মুখ খুলতেই দাবি শমীকের, কী প্রতিক্রিয়া কুণাল-সুজনের ?