Firearms Retrieved: নথিপত্রের জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ, গোপালনগরের কলেজের ঘটনায় শোরগোল
Bullets In College Almirah: থাকার কথা কলেজের নথিপত্র! কিন্তু একী! সেখান থেকেই কিনা আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ? সঙ্গে আবার ৪ রাউন্ড কার্তুজ। গোপালনগরের নহাটা যোগেন্দ্রনারায়ণ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এই ঘটনায় শোরগোল চারদিকে।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: থাকার কথা কলেজের (college) নথিপত্র! কিন্তু একী! সেখান থেকেই কিনা আগ্নেয়াস্ত্রের (firearms) খোঁজ? সঙ্গে আবার ৪ রাউন্ড কার্তুজ (bullets)। গোপালনগরের (gopalnagar)নহাটা যোগেন্দ্রনারায়ণ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এই ঘটনায় শোরগোল চারদিকে। গোপালনগর থানায় অভিযোগ (complaint) দায়ের করলেন কলেজের অধ্যক্ষ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কলেজের সাসপেন্ডেড (suspended) অ্যাকাউন্ট্যান্টের (accountant)।
কী হয়েছিল?
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে দাবি, এদিন কলেজের বিভিন্ন আলমারি খুলে নথি খতিয়ে দেখছিলেন কর্মীরা। তখনই স্টাফ রুমে থাকা একটি আলমারি খুলতেই আগ্নেয়াস্ত্রটি বেরিয়ে আসে। পাশে ছিল চারটি কার্তুজও। চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় কর্মীদের। যেখানে কলেজের নথি থাকার কথা সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ কেন? এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, যে আলমারি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের হদিস মিলেছে সেটি কলেজের সাসপেন্ডেড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রণপতি রায়ের। কয়েকমাস আগে অধ্যক্ষের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এখন জামিনে মুক্ত হলেও কলেজে আসছেন না। অধ্যক্ষ অর্ণব ঘোষের ধারণা, উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি ওই অ্যাকাউন্ট্যান্টেরই। বললেন, 'গত কয়েক দিনে ওঁর সাথে আমার কিছু ঝামেলা হয়েছিল। উনি আমার উপরে আক্রমণ করেছিলেন। তারপর জেল থেকে বেরিয়ে আর কলেজে আসেননি। আমরা কলেজ থেকে রণপতি রায়কে সাসপেন্ড করেছিলাম । এদিন আমাদের কলেজের স্টাফরা বিভিন্ন লকার খুলে কাগজপত্র বের করবার সময়ই কার্তুজ এবং আগ্নেয়াঅস্ত্র দেখা যায়। তারপরেই আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে সেগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।'
যেখানে ধাঁধা
কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না। প্রথমত, কলেজে আগ্নেয়াস্ত্র এল কী ভাবে? আর দুই, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কী করার চেষ্টা হয়েছিল? এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ যে রণপতি রায়ের, সে ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই মর্মেই দায়ের হয়েছে অভিযোগ।