Barrackpore Shootout : শ্যুটআউটকাণ্ডের পর আতঙ্ক ব্যারাকপুরে, নিরাপত্তার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের
Gold Shop Closed : ব্যারাকপুরের সিপির অফিসে স্মারকলিপি পেশ। ঘটনার প্রতিবাদে ব্যারাকপুর ও পলতায় বন্ধ সব সোনার দোকান।
ব্যারাকপুর : শ্যুটআউটকাণ্ডের (Shoot Out) পর আতঙ্কে ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বাসিন্দারা। নিরাপত্তার দাবিতে (Demand od Security) থানায় বিক্ষোভ (Agitation) ব্যবসায়ীদের । এলাকায় মিছিলও করেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যারাকপুরের সিপির অফিসে স্মারকলিপি পেশ। ঘটনার প্রতিবাদে ব্যারাকপুর ও পলতায় বন্ধ সব সোনার দোকান।
ব্যারাকপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে আজ ব্যারাকপুর ও পলতায় সোনার দোকান বন্ধের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। এর পাশাপাশি, আনন্দপুরী এলাকায় সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার ভরসন্ধেয় আনন্দপুরী এলাকায় সোনার দোকানে লুঠে বাধা দেওয়ায় ডাকাতদের গুলিতে মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিংহর। খুনের পর ২ দিন কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত ২ জন সম্পর্কে মামা ও ভাগ্নে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে, আনন্দপুরীর সিংহ জুয়েলারি হাউসে ডাকাতির সময় মামা জামশেদ আনসারির সঙ্গেই ছিল ভাগ্নে সফি খান। পুলিশের দাবি, মামা-ভাগ্নে মিলে ব্যারাকপুর ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষে। ভাগ্নে সফি কামারহাটির বাসিন্দা হলেও জামশেদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কোথায় কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে তা জানার চেষ্টা চলছে।
এছাড়াও আরও একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির আগে হাওড়ার একটি দোকানে ডাকাতির ছক ছিল দুষ্কৃতীদের। ধৃত মামা-ভাগ্নেকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার জন্য ১৮ মে, রেকি করতে ওই দোকানে যায় ২ দুষ্কৃতী। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল ২ জন। ২৪ মে, প্রথমে কদমতলার সোনার দোকানের বাইরে জড়ো হয় ডাকাতরা। কিন্তু, সেই সময় ক্রেতার ভিড় থাকায়, ডাকাতির ছক বানচাল হয়ে যায়।
বুধবার, মাত্র এক মিনিট সাঁইত্রিশ সেকেন্ডের অপারেশনে এক লহমায় শেষ হয়ে যায় ২৭ বছরের একটা তরতাজা প্রাণ! ব্য়ারাকপুরে ভরা বাজারের মধ্য়ে, ভরসন্ধেয় এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউরে উঠেছেন সবাই। স্বাভাবিকভাবেই ব্য়ারাকপুরে সোনার দোকানে ঢুকে, ব্য়বসায়ীর ছেলেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা। আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকারই সাংসদ, তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ। অর্জুনের বক্তব্যের পাশে দাঁড়ান মদন মিত্রও। অর্জুন বলেন, ' পুলিশ-প্রশাসনকে বলব, আমার নিরাপত্তা তুলে নিক, ব্যারাকপুরটাকে নিরাপদ করতে হবে। ' পাল্টা, কটাক্ষের সুরে সৌগত রায় বলেন, ' সময় সময়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, কেন্দ্রীয় সরকারকে ডেপুটেশন দিন।'