North 24 Paragana : বাড়ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা, উত্তর ২৪ পরগনার ৫ হাসপাতালে চালু হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট
করোনা মোকাবিলায় উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি হাসপাতালে চালু হতে চলেছে অক্সিজেন প্লান্ট। প্রকৃতি থেকে বাতাস সংগ্রহ করে অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে তা পরিশুদ্ধ করা হবে।
সমীরণ পাল, বারাসাত (উত্তর ২৪ পগরনা) : করোনা মোকাবিলায় উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি হাসপাতালে চালু হতে চলেছে অক্সিজেন প্লান্ট। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রকৃতি থেকে বাতাস সংগ্রহ করে অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে তা পরিশুদ্ধ করা হবে। পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে অক্সিজেন।
কোথাও অক্সিজেন সিলিন্ডার পেতে লম্বা লাইন। কোথাও অক্সিজেনের অভাবে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে রোগীদের । এমনকী আউটডোরে বসে অক্সিজেন নিতেও দেখা গিয়েছে রোগীদের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে সামনে এসেছিল এই ছবি ! অনেক জায়গায় অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ পর্যন্তও উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতেও মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে হয়েছে অক্সিজেনের কালোবাজারি। চড়া দামে বিক্রি হয়েছে জীবনদায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়ে এলেও, আশঙ্কা রয়েছে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার।
ইতিমধ্যেই পুজোর মুখে করোনার থার্ড ওয়েভ আসতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গঠিত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ইনস্টিটিউট বা এনআইডিএম। অক্সিজেনের অভাব মেটাতে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে আগেই তৈরি করা হয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনার ৫টি সরকারি হাসপাতাল- বারাসাত সদর হাসপাতাল, বনগাঁ জীবনরতন ধর মহকুমা হাসপাতাল, অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
বারাসাত সদর হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ইনস্টলেশন কমপ্লিট। প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত বাতাস অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করে আউটলেট পাইপের মাধ্যমে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে। ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন মিলবে। কখনোই ঘাটতি হবে না। তৃতীয় তরঙ্গের আগে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই চালু হয়ে যাবে।
গত এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবের সময়, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে এক সময় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ।