Madhyamgram Municipality : 'পাইপ ফেটে বিপত্তি', পানীয় জলের সঙ্গে মিশছে নর্দমার নোংরা; সঙ্কটে মধ্যমগ্রামের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা
Water Crisis : স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর আগে পুরসভার পানীয় জলের পাইপ ফেটে যায়
সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম : জলের পাইপ ফেটে বিপত্তি। মধ্যমগ্রাম পুরসভার (Madhyamgram Municipality) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের সঙ্কট (Drinking Water Crisis)। জল কিনে খেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। রাজনৈতিক কারণে বঞ্চনার শিকার তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, এমনই দাবি করেছেন বাম কাউন্সিলর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা।
পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে হু-হু করে-
মাটির নীচে পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে হু-হু করে। কল খুললে বেরোচ্ছে নোংরা জল। এই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা সরণির। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর আগে পুরসভার পানীয় জলের পাইপ ফেটে যায়। পানীয় জলের সঙ্গে নর্দমার জল মিশে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীপান্বিতা সিংহ বলেন, ড্রেনের জলের সঙ্গে মিশে গেছে পুরসভার জল। সবার গায়ে র্যাশ বেরিয়েছে...ব্যবহারই করা যাচ্ছে না। কেনা জলে রান্না করতে হচ্ছে।
শুক্লা দাস নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, জল কিনে খেতে হচ্ছে। আমরা গরিব। কী করে জল কিনব ?
পুজোর আগে পাইপ ফাটলেও এখনও কেন নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা ? এমনই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পানীয় জল নিয়ে উঠছে আমরা-ওরার অভিযোগ। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর প্রিয়ঙ্কা মল্লিক বলেন, মধ্যমগ্রাম পুরসভার আমি বিরোধী কাউন্সিলর। বামেদের তাই বঞ্চনা। আমরা জানিয়েছি। ওরা ব্যবস্থা না নিলে ডেপুটেশন জমা দেব, সবাইকে নিয়ে যাব।
যদিও মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নিমাই ঘোষ বলেন, ১৩ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে মার্কিং করে দিয়েছি বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তারপর থেকে ইউজার পরিষ্কারের কাজ চলছে ৩-৪ দিনের জন্য । পাইপ ফেটে গেলে পরের দিন সারানো হয়ে যায়।
রাজনীতির টানাপোড়েনে জল সমস্যার সমাধান কবে হবে ? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন মধ্যমগ্রামের পুর নাগরিকদের।
প্রসঙ্গত, বিজয়া সম্মিলনীতে (Bijaya Sammilani) পঞ্চায়েত (panchayat) সদস্য ও সদস্যাদের কার্যকলাপ নিয়ে কড়া (strict) বার্তা (message) দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী (food minister) রথীন ঘোষ (rathin ghosh)। বারাসাত এক নম্বর ব্লকের বামনগাছিতে দলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'নির্বাচনের সময় দেখা যায়, যাঁরা মহিলা সদস্যা হন, দেখা যায় তাঁদের স্বামী (husband) বা ভাইয়েরা (brother) মাতব্বরী (muscle flex) করছে। তাহলে তিনি কী কারণে সদস্যা হলেন ? এগুলো প্রশ্রয় দেবেন না।'
আরও পড়ুন ; বিজয়া সম্মিলনীতে পঞ্চায়েত সদস্যদের কড়া বার্তা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের