![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
North 24 Parganas:বিজয়া সম্মিলনীতে পঞ্চায়েত সদস্যদের কড়া বার্তা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের
Rathin Ghosh Addresses: বিজয়া সম্মিলনীতে পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যাদের কার্যকলাপ নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। বললেন, 'যাঁরা মহিলা সদস্যা হন, দেখা যায় তাঁদের স্বামী বা ভাইয়েরা মাতব্বরী করছে।'
![North 24 Parganas:বিজয়া সম্মিলনীতে পঞ্চায়েত সদস্যদের কড়া বার্তা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের West Bengal Food Minister Rathin Ghosh Addresses Panchayat Members Strictly While Addressing Bijaya Sammilani In Barasat North 24 Parganas:বিজয়া সম্মিলনীতে পঞ্চায়েত সদস্যদের কড়া বার্তা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/10/16/12efe7b8c29b8bfaf9dabdc3a47e81b41665892754883482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বিজয়া সম্মিলনীতে (Bijaya Sammilani) পঞ্চায়েত (panchayat) সদস্য ও সদস্যাদের কার্যকলাপ নিয়ে কড়া (strict) বার্তা (message) দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী (food minister) রথীন ঘোষ (rathin ghosh)। বললেন, 'নির্বাচনের সময় দেখা যায়, যাঁরা মহিলা সদস্যা (female member) হন, দেখা যায় তাঁদের স্বামী (husband) বা ভাইয়েরা (brother) মাতব্বরী (muscle flex) করছে। তাহলে তিনি কী কারণে সদস্যা হলেন? এগুলো প্রশ্রয় দেবেন না।'
কী বললেন রথীন?
বারাসাত এক নম্বর ব্লকের বামনগাছিতে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি হাজির ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। সেখানেই পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন রথীন। সঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এক লাখ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে অনেকে আবার ১০ হাজার টাকা করে কাটমানি খেয়েছেন। এটা দল কখনও মেনে নেবে না। তাঁর বার্তা, সজাগ থাকতে হবে। তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী জানান, দলের ভিতরে যে আলোচনা হয়েছে, তিনি সে ব্যাপারে কোন উত্তর দেবেন না। একই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কদম্বগাছিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের দিকে ইঙ্গিত করে বারাসাতের সাংসদ বলেন. 'নিজের জমিতে নিজেরা চাষ করুন। অন্যের জমিতে চাষ করবেন না। আমি সব খোঁজখবর রাখি এবং সেগুলো আমাকে সামলাতে হয়।' তাঁর বক্তব্য, এগুলি আসলে ভারতীয় জনতা পার্টির কাজ। গোষ্ঠীকোন্দলের দিকটি অস্বীকার করে যান কাকলি।
গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ...
গত জানুয়ারিতে দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় দত্তপুকুরের কদম্বগাছিতে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে তৃণমূলের বারাসাত শাখার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু। অভিযোগ, তিনি চলে গেলেই দলবল নিয়ে সভায় হামলা চালান কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল নেতা মেহবুব হাসান সরদার। অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্য। ঘটনার প্রতিবাদে চলে টাকি রোড অবরোধও। হালে, গত সেপ্টেম্বরেও তৃণমূলের ২ নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের ৪ জন আহত হন। আহতদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কামারহাটি ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করে, যদিও কামারহাটি থানা সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কামারহাটিতে। দলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই তোলাবাজি ও হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী। কামারহাটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের অভিযোগ, 'গুড্ডুর লোকজন এখানে সবার থেকে তোলা তোলে, তারপর দিঘায় গিয়ে মদ খায়। দলকে জনিয়েছি, প্রশাসনও জানে।' ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিও চলেছে বলে তাঁদের দাবি।
আরও পড়ুন:৩০ দিনের বেশি গৃহহীনদের ৫ লক্ষ, ভাড়াটেদের ১.৫ লক্ষ, বউবাজারে ঘোষণা ফিরহাদের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)