North 24 Paraganas: এবার বিজেপির বিক্ষুব্ধদের নিয়ে পিকনিক শান্তনু ঠাকুরের
জয়প্রকাশ মজুমদাররা অবশ্য এই পিকনিকে কোনও রাজনীতির কোনও সম্পর্কে রয়েছে বলে মনে করছেন না। সামাজিক চড়ুইভাতিতে এসেছেন। পিকনিকে যোগদানকারীরা বলছেন, এর কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁ (Bangaon)জোড়া বৈঠকের পর বিজেপির (BJP) বিক্ষুব্ধদের (Rebels) নিয়ে পিকনিক (Picnic) বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur)। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) নহাটায় পিকনিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। পিকনিকে যোগ দিতে হাজির হয়েছেন জয়প্রকাশ, রীতেশ, অশোক কীর্তনিয়ারা। গোপালনগর দক্ষিণে বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, সুরের থেকে বেসুর শুনতে ভালো লাগে, সেটাই মানুষের কাছে গৃহীত হবে। যে অবস্থান বিজেপির, তার থেকে যদি বেসুরো সুর বাজে, তাহলে তাই-ই গৃহীত হবে মানুষের মধ্যে।সেই অবস্থাই আগামীতে তৈরি হতে চলেছে।
জয়প্রকাশ মজুমদাররা অবশ্য এই পিকনিকে কোনও রাজনীতির কোনও সম্পর্কে রয়েছে বলে মনে করছেন না। সামাজিক চড়ুইভাতিতে এসেছেন। পিকনিকে যোগদানকারীরা বলছেন, এর কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। করোনা পরিস্থিতিতে এবার ছোট করে পিকনিক হচ্ছে।
‘পিকনিকের বিষয়ে কিছু জানি না’, মন্তব্য বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের। তিনি বলেছেন, দলের তরফ থেকে কোনও পিকনিক হচ্ছে না। যাঁরা পিকনিকের আয়োজন করেছেন, তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরেই গোষ্ঠীবাজি করছেন।সংগঠনের বাইরে আমরা তো থাকতে পারি না। দলের বাইরে কিছু করব না, জেনেই হয়ত ডাকেনি।
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দ্রুত প্রনয়নের দাবিত ইতিমধ্যেই বিজেপির উপর চাপ আরও বাড়িয়েছেন মতুয়া সাংসদ, বিধায়করা। দাবি আদায়ে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে মতুয়ারা। মতুয়াদের পাশে দল আছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। মতুয়া ক্ষোভ সামনে চলে আসায় গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল।মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেছেন, উদ্বাস্তুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সিএএ চালু হোক, তার জন্য আন্দোলন হবে।
দলের রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের সুর!এই প্রেক্ষাপটেই বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে,এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিজেপির মতুয়া সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিরা।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এখনও কার্যকর না হওয়ায়, ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বঙ্গ বিজেপির উদ্বাস্তু সেল।
এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপির উপর চাপ আরও বাড়ালেন পদ্ম প্রতীকে সাংসদ-বিধায়ক হওয়া মতুয়া জনপ্রতিনিধিরা।২০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হয়।৪ বার পিছিয়ে গিয়েও এখনও আইন কার্যকর হয়নি।আর তা নিয়েই বারবার মতুয়াদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসছে।
এর আগে আইন কার্যকরের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেন, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।রবিবার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে, তাঁর নেতৃত্বে আড়াই ঘণ্টার বেশি বৈঠক হয়। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ছিলেন মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য ও বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর,বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ও রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।