North 24 Pargana: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, উত্তর ২৪ পরগনায় কমানো হচ্ছে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে, ফের এই সমস্ত হাসপাতালগুলোতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
উত্তর ২৪ পরগনা: আপাতত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ফলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কমানো হচ্ছে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা। ১২ থেকে কমে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা হচ্ছে ২। এবার থেকে শুধুমাত্র অশোকনগর স্টেট জেনারেল ও রাজারহাটের সিএনসিআই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্সা হবে। জেলায় ১৪০০ বেড থেকে কমে এবার করোনা রোগীদের থাকছে ৫০০-৫৫০ বেড। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে, ফের এই সমস্ত হাসপাতালগুলোতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গতকালের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গতকালের বুলেটিন অনুযায়ী বঙ্গে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭৯ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। কলকাতা, দার্জিলিং, ও নদিয়াতেও ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ।
এর কয়েকদিন আগে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু সোমবারও আগের দিনের তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল। সেইসঙ্গে বেড়েছিল মৃতের সংখ্যাও। সোমবারের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৪৬ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে মৃতের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে আক্রান্তর সংখ্যা।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছেই। এ বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইসিএমআর-এর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের এপিডিমিওলজি এন্ড কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান ডা. সমীরণ পাণ্ডা গতকাল সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, যে সব রাজ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েনি, সেই রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যা তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাক পর্ব বলা যেতে পারে।
এই আশঙ্কার কথা জানিয়েই রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সমীরণ পাণ্ডা জানান, ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধে ছাড় দিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির থেকে শিক্ষা নিয়ে টিকাকরণ শুরু করেছে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, যেসব রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভায়বহতা লক্ষ্য করা যায়নি ,সেই সব রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার নিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রতিদিন রাজ্যগুলিকে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু সংখ্যার দিকে নজর দিতে হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ধরন কেমন ছিল, নজর দিতে হবে সেদিকেও। সব দিক পর্যালোচনা করে করোনা সংক্রান্ত বিধি বা গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।