North 24 Pargana: রাজ্যে ভােট পরবর্তী সন্ত্রাস, জগদ্দল থেকে সিবিআইয়ের জালে ১
North 24 Pargana: ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন শোভারানি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এক অভিযুক্ত রতন হালদারকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
সমীরণ পাল ও প্রকাশ সিনহা, জগদ্দল: রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে নেমে জগদ্দল থেকে রতন হালদার নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর জগদ্দলের বাসিন্দা শোভারানি মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। শোভারানির ছেলে বিজেপি করেন। তাঁর ওপর হামলা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন শোভারানি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এক অভিযুক্ত রতন হালদারকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সিবিআই তদন্ত করছে। যারা হিংসা করেছে তাদের এবার বিচারের সামনে আসতে হবে। তৃণমূলের যে গুণ্ডারা ভোট পরবর্তী হিংসা করেছেন, তারা এখন বাড়ি থেকে পালাচ্ছে। বিজেপি নেতাদের টাকা পয়সা ফেরত দিচ্ছে তারা।"
অন্যদিকে ফের পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সিবিআই। গত দুদিনের মত আজকেও নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামে যায় সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধি দল। ৩ রা মে এই গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ১৩ই মে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্ত করতে ফের আজকে চিল্লগ্রামে যায় সিবিআই। সেখানে স্থানীয় উপডাকঘরে বসে কাজকর্ম করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
পাশাপাশি দেবব্রতর পরিবারের সদস্যদের আজকে সেখানে ডাকা হয়, তাদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আজও দেবব্রতর বাড়ির সামনে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের তদন্তে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। পরিবার সূত্রে খবর, তখনই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সিবিআই তদন্তে যাওয়ার পরেই পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার।বাড়ির সামনে এখন পাহারা দিচ্ছে পুলিশ।
গত ৩ মে, বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরের দিন নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে। ১৩ মে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।