করোনা মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ, উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি হাসপাতালে চালু হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট
এই উদ্যোগে খুশি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা মোকাবিলায় উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচটি হাসপাতালে চালু হতে চলেছে অক্সিজেন প্লান্ট। এগুলি হল, বারাসাত সদর হাসপাতাল, বনগাঁ জীবনরতন ধর মহকুম হাসপাতাল, অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রকৃতি থেকে সংগৃহীত বাতাস অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করে আউটলেট পাইপের মাধ্যমে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে। এই উদ্যোগে খুশি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারা।
সম্প্রতি জানানো হয়েছিল আপাতত উত্তর ২৪ পরগনা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ফলে জেলায় কমানো হচ্ছে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা। ১২ থেকে কমে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা হবে ২টি। জানানো হয়েছিল এবার থেকে শুধুমাত্র অশোকনগর স্টেট জেনারেল ও রাজারহাটের সিএনসিআই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্সা হবে। জেলায় ১৪০০ বেড থেকে কমে এবার করোনা রোগীদের থাকছে ৫০০-৫৫০ বেড। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে, ফের এই সমস্ত হাসপাতালগুলোতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট। পিপিপি মডেলে এই প্লান্ট হলে হরিশ্চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, আশপাশ এলাকার বহু মানুষের উপকার হবে। শীঘ্রই অক্সিজেন প্লান্ট চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য এবং আসন্ন। ইতিমধ্যেই এই সতর্কবার্তা দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আসন্ন এই বিপদের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক প্রশাসন।
জেলার মধ্যে প্রথম এখানেই গ্রামীণ হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন প্লান্ট।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পিপিপি মডেলে এই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি হবে। মিনিটে ৫০ কেজি করে তৈরি হবে অক্সিজেন।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানিয়েছিলেন, ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই অক্সিজেন প্লান্ট দিয়ে হাসপাতালের ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে ৫০ জন রোগীকে অক্সিজেনের সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমলকৃষ্ণ মণ্ডল জানান, আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অক্সিজেন নিয়ে আসতে হত, কিন্তু এখন হাসপাতাল চত্বরে অক্সিজেন উৎপাদন হবে, এতে এলাকাবাসীদের প্রচুর সুবিধা হল।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, বহু মানুষ হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উপর ভরসা করে থাকেন, অক্সিজেন প্লান্ট হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো গ্রামীণ হাসপাতালে বসানোয় এলাকার অনেক গরিব রোগীদের সুবিধা হবে। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেন প্লান্টের পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে ২৪ বেডের সেফ হোম।