Sandeshkhali Police Report:'আজ পর্যন্ত ৪টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ধর্ষণের অভিযোগ নেই', সন্দেশখালি নিয়ে দাবি পুলিশের
Rape Allegation:'আজ পর্যন্ত ৪টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই', সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি পুলিশের।
সন্দেশখালি: 'আজ পর্যন্ত ৪টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু ধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই', সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি পুলিশের (Sandeshkhali Police Report)। 'মহিলাদের অভিযোগ তুলতে রাজ্য সরকার ১০ সদস্যের টিম তৈরি করছে, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে অভিযোগ শুনবে পুলিশের ১০ সদস্যের স্পেশাল টিম। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে', আরও দাবি তাঁদের।
যা যা হল...
ঘটনা হল, এদিন সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর বক্তব্য ছিল, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে।' পরে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ দাবি করে, কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তারা পায়নি। শুধু তাই নয়। এ পর্যন্ত যে ৪টি লিখিত অভিযোগ এসেছে, তার একটিতেও ধর্ষণের কথা নেই। তবে কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে মহিলাদের নির্ভয়ে তা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। বারাসাত রেঞ্জের ডিআইজি সুমিত কুমার আবার বলেন, 'সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। আর কোনও খামতি করা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।' এদিনই সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা। কিন্তু পুলিশের দাবি আর সন্দেশখালির প্রতিবাদীদের একাংশের বক্তব্য মিলছে না বলে অভিযোগ নানা মহলের। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিক্ষোভকারী মহিলাদের কেউ কেউ যেমন প্রশ্ন তোলেন, 'পুলিশই তো অত্যাচার করছে, কী ভাবে ভরসা করব?' আর এক জনের বক্তব্য, 'জনগণের জন্য ১৪৪, আর সন্ত্রাসবাদীদের জন্য কী?...রাজ্য প্রশাসন পুরো কাঠের পুতুল।' প্রসঙ্গত, ১৪৪ ধারা জারি ও বিজেপি বিধায়কদের আটকানো নিয়ে এদিনও তুলকালাম হয়। বিজেপি বিধায়কদের ক্ষোভ, তাঁদের বাস সায়েন্স সিটি-র কাছে ৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। পরে বাস থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, সরস্বতী পুজোর পর, বৃহস্পতিবার ফের সন্দেশখালি যাবেন।
সরেজমিন রাজ্যপালের...
তপ্ত এলাকার ছবি খতিয়ে দেখতে সোমবার সেখানে পৌঁছেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের কাছে নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্দেশখালির মহিলারা। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের কঠোর শাস্তির দাবিও করেন তাঁরা। এদিন সন্দেশখালি থেকে ফিরে সোজা দিল্লি রওনা চলে যান রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন:'বেকারদের জন্য ৫ লক্ষ সরকারি চাকরি প্রস্তুত', আরামবাগের প্রশাসনিক সভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী