(Source: Poll of Polls)
Bhatpara Ram Puja:তৃণমূলনেত্রীর সংহতি মিছিলের আহ্বানের মধ্যে ভাটপাড়ায় রামপুজোর আয়োজন দলীয় কাউন্সিলরের
North 24 Parganas:শ্রীরামচন্দ্রের পুজোর আয়োজন করলেন ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডে ও তাঁর স্বামী প্রিয়াঙ্কু পান্ডে। প্রিয়াঙ্কু-ও তৃণমূল নেতা। বি
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: একদিকে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান, অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংহতি যাত্রা। এই আবহের মধ্যে শ্রীরামচন্দ্রের পুজোর আয়োজন করলেন ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডে ও তাঁর স্বামী প্রিয়াঙ্কু পান্ডে। প্রিয়াঙ্কু-ও তৃণমূল নেতা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে।
কী হতে চলেছে?
তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী যে রাম-পুজোর আয়োজন করছেন, তাতে সাড়ে ৮ লক্ষ মাটির প্রদীপ দিয়ে রামমূর্তি তৈরি করার কথা। সেই কাজ আগেই শুরু হয়েছে। বিহার থেকে এই জন্য এসেছেন শিল্পী অনিল কুমার। বিহার ও উত্তরপ্রদেশেও এই ধরনের মূর্তি তৈরি করেছিলেন তিনি। এবার তাঁর শৈল্পিক ছোঁয়ায় শ্রীরামচন্দ্রের আরাধনা হবে ভাটপাড়ায়। শুধুমাত্র মূর্তি তৈরি নয়। রীতি মেনে যাগযজ্ঞ করে পুজোরও ব্যবস্থা হয়েছে। ২২ জানুয়ারি, অর্থাৎ অযোধ্যায় যেদিন রামমন্দির উদ্বোধন হবে, সেই দিনই পুজো হবে এখানে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, রাম মন্দির যখন উদ্বোধন হবে তখন থেকেই এখানেও পুজো শুরুর কথা। বারাণসী থেকে এর মধ্যেই একাধিক পুরোহিতও পৌঁছে গিয়েছেন।
এলাকার বহু মানুষ এই মূর্তি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন কাকিনাড়ার জহর পার্কে। আবেগে মেতেছে সারা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। সঙ্গে সঙ্গে চড়ছে রাজনৈতিক পারদও। যদিও পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রিয়াঙ্কু পান্ডের স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি রামভক্ত। তাই এই পুজা। এই পুজোর মর্যাদা যে তাঁর কাছে সব কিছুর আগে, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। জানিয়েছেন, এর পর দেশ, তার পর ধর্ম এবং তার পর রাজনীতি।
সংহতি মিছিল...
এদিকে দিনচারেক আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতায় 'সংহতি' মিছিলের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল হওয়ার কথা। ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের সম্প্রীতি মিছিল, ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী। পাল্টা, ২২ জানুয়ারি 'সংহতি' মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুজোর দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জিও জানানো হয়। সব শুনে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ। সংহতি মিছিল নিয়ে কটাক্ষ শোনা যায় বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। বলেন 'যাঁরা সংহতির মিছিলের নামে সংহতি নষ্ট করেন, তাঁরাই আবার রাস্তায় নামছে।'
আরও পড়ুন:বনবাসের ১৪ বছর, কাল কালনাতেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বসছে ১৪ ফুটের রাম মূর্তি