Duttapukur Incident:উঠোনে পড়ে ছিন্নভিন্ন হাত, চমকে ওঠেন মোচপোলের আসগর আলি
North 24 Parganas:কোথাও উঠোনে পড়ে হাত, কোথাও আবার পুকুরে ভেসে রয়েছে দেহের অন্য কোনও অংশ। দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামের বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পরও বারুদ-পোড়া দেহাংশে গন্ধ।
সমীরণ পাল ও আবির দত্ত: কোথাও উঠোনে পড়ে হাত, কোথাও আবার পুকুরে ভেসে রয়েছে দেহের অন্য কোনও অংশ। দত্তপুকুরের (Duttapukur Incident) মোচপোল গ্রামের বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পরও বারুদ-পোড়া দেহাংশে গন্ধ। সোমবার বিস্ফোরণস্থলের (North 24 Parganas) ৫০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় এক মৃতদেহের মুণ্ড। সব দেখেশুনে শিউরে উঠছেন শেখ আসগর। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে তাঁর বাড়ি। ২৪ ঘণ্টা আগে নিজের উঠোনেও এমনই কিছু দেখেছিলেন আসগর।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে...
দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৭ ছুয়ে ফেলে গত কালই। তার তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের বেশ কিছুটা এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে, পানাপুকুরে, এদিন সকালেও পড়ে থাকতে দেখা যায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া পায়ের অংশ। বিস্ফোরণস্থলের ২০০ মিটার দূরে, বাড়ির উঠোনে ছিন্নভিন্ন হাত পড়ে থাকতে দেখেছিলেন শেখ আসগর। কারও মৃতদেহ আবার উড়ে গিয়ে পড়েছিল পাশের বাড়ির চালে। সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর ছবি। কিন্তু কী এমন তৈরি হত সেই কারখানায় যার অভিঘাতে এমন পরিস্থিতি? বাজি নাকি বাজির আড়ালে অন্য কিছু? সন্দেহ দানা বেঁধেছে মোচপোলের পরিত্যক্ত ইটভাটায় অত্যাধুনিক গবেষণাগারের খোঁজ মেলায়। সেখানে অত্যাধুনিক মেশিন, টেস্ট টিউব, সিরিঞ্জ, রাসায়নিক, কাচের শিল্ড লাগানো হেলমেট, স্টোন চিপস ইত্যাদি পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে থেকে রাজনৈতিক ব্য়ক্তিত্ব, সকলেরই প্রশ্ন, বাজি তৈরিতে স্টোন চিপস কোন কাজে লাগে? খতিয়ে দেখে উঠে এল আরও তথ্য। জানা গিয়েছে, ১০ বছর আগে বন্ধ ইটভাটার ফাঁকা চত্বরে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিকল্পনা করে তৈরি হয়েছিল তিনটি বিল্ডিং। হেলিপ্যাডের মতো তৈরি করা হয়েছিল কংক্রিটের ঢালাই করে। ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এসবের মধ্যে কীসের ইঙ্গিত? শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মতে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় যা ঘটেছিল তারই 'অ্যাকশন রিপ্লে' হল দত্তপুকুরে।
মূল অভিযুক্ত সম্পর্কে...
গত কালের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্যতম অভিযুক্ত কেরামত আলি ও তাঁর ছেলের। প্রসঙ্গত, এগরার বিস্ফোরণের পরই রাজ্যে পুলিশি অভিযানে বাদু থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেরামত। জামিন পাওয়ার পরে মুর্শিদাবাদ থেকে লোক আনিয়ে ওই কারখানা চালানো হত, খবর পুলিশ সূত্রে। গত পরশু, অর্থাৎ শনিবার রাতেও এসেছিল ট্রাকভর্তি বারুদ। তা হলে পুলিশি নজরদারি কোথায় ছিল ? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন:কলকাতা পুলিশে এসআই পদে হচ্ছে নিয়োগ,এই যোগ্যতা থাকলেই করুন আবেদন