North 24 Parganas: দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে দলের কর্মী ও গ্রামবাসীরদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক
TMC MLA Of Minakhan Faces Flak:দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে দলের কর্মী ও গ্রামবাসীরদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাঁকে আটকে রাখেন দলীয় কর্মীরা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দিদির দূত (didir doot) কর্মসূচিতে গিয়ে দলের কর্মী ও গ্রামবাসীরদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাঁকে আটকে রাখেন দলীয় কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ (Minakhan Assembly) বিধানসভার ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবিতলা বাজারে। পরে মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বিক্ষোভের মুখ থেকে বিধায়ক ঊষা রাণী মন্ডলকে উদ্ধার করে।
কী ঘটেছিল?
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত ৫ বছরে রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা, কোথাও কোনও উন্নয়ন ঘটেনি। ভোটের সময় বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডল অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে অভিযোগ। গত পাঁচ বছরে এলাকাতেও দেখা যায়নি তাঁকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে এলে গ্রামবাসী বিধায়কের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি অবিলম্বে রাস্তাঘাট তৈরির পাশাপাশি পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রায় ৪০ মিনিট গ্রামবাসীরা মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডলকে আটকে রাখেন। এতেই শেষ নয়। স্থানীয় দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে, বিধায়ককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং মারধরের চেষ্টাও অভিযোগ রয়েছে। এরপর মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে বিধায়ককে উদ্ধার করে।
রাজনৈতিক তরজা...
দলের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যে বিধায়কের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন মিনাখাঁ বিধানসভার চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল। বলেন, 'শকুন্তলা থেকে চন্ডীতলা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা সত্যি খুবই খারাপ। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা ছিল। এই রাস্তা সংস্কারের জন্য একাধিকবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা নির্মাণের টাকা কেন্দ্র সরকার দেয়। সেই টাকা না দেওয়ার কারণে রাস্তাটি করা সম্ভব হয়নি। দলের কর্মীরা বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানাতে এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে যাঁরা বিধায়ককে হেনস্থা করেছেন, গালাগালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ নন, আইএসএফের লোকজন। দাবি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলের। এর আগেও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শাসকদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। গত মাসেই যেমন ফের দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল নেতা। রামপুরহাটে মেলেরডাঙা গ্রামে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরে মেলেরডাঙা থেকে রামপুরহাটে রাস্তা বেহাল। প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তা মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর বিষ্ণুপুরে গিয়েও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ। আবাস তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:তৃণমূলের কি হাতছাড়া হবে সাগরদিঘি ? বেশ কিছুটা এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী