খাটে রেখে রান্নাঘরে মা, ঘরের মধ্যে জমা বৃষ্টির জলেই ডুবে মৃত্যু ৫ মাসের শিশুর, বিরাটিতে ভয়ঙ্কর ঘটনা
উত্তর দমদমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ৫ মাস বয়সেই শেষ হয়ে গেল একটা প্রাণ। নিজের ঘরের মধ্যেই জলে ডুবে মারা গেল ঘুমন্ত শিশু। ভয়াবহ !

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন জেলা থেকে জেলা, শহর থেকে শহরতলি। দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে জল নামার চিহ্ন নেই। বেহাল নিকাশী, বৃষ্টি থামলেও জলের তলায় এলাকা । রাস্তা ঘাট জল থৈ থৈ। কোথায় গর্ত, কোথায় ইলেকট্রিকের তার, বোঝার উপায় নেই। পদে পদে পাতা মৃত্য ফাঁদ। বৃষ্টির এই জমা জলে ডুবেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় উত্তর ১৪ পরগনার একরত্তি শিশুর। উত্তর দমদমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাত্র ৫ মাস বয়সেই শেষ হয়ে গেল একটা প্রাণ। নিজের ঘরের মধ্যেই জলে ডুবে মারা গেল ঘুমন্ত শিশু। ভয়াবহ !
বিরাটিতে টানা বৃষ্টিতে জল জল থৈ থৈ অধিকাংশ এলাকা। দিনের পর দেন কেটে যাচ্ছে , জল নামছেও না। গলি থেকে রাজপথ জলে ভরা। স্রোতের মতো জল ঢুকেছে ঘরের মধ্যে। বিছানা থেকে নামলেই জল। নর্দমার নোংরা জল , পোকামাকড়, বালিশ বিছানা, সব যেন একাকার। আর সেই জমা জলেই চলে গেল একরত্তি শিশুকন্যার প্রাণ।
ঘরে খাটে শুইয়ে রেখে রান্না ঘরে গিয়েছিলেন মা। ওই জমা জলেই চলছে রোজকার গৃহকর্ম। কীভাবে যেন ওই জলে পড়ে যায় ঘুমন্ত একরত্তি মেয়ে। মা টেরও পাননি। কান্নার আওয়াজও পাননি। ঘরে ফিরে দেখেন মেয়ে খাটে নেই। নিস্তেজ দেহটা পড়ে রয়েছে জমা জলে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। থেমে যায় হৃদস্পন্দন। তখন আর কিছুই করার নেই, জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।
যশোর রোডের উপর বিরাটি মোড়ে রাস্তার একাংশেও ভয়াবহ অবস্থা। গোটা রাস্তা খানাখন্দে ভরা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। জায়গায় জায়গায় জল জমে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এয়ারপোর্টগামী এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। বেহাল রাস্তার জেরে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কৈখালি থেকে এয়ারপোর্ট যাতায়াতের রাস্তারও একইরকম বেহাল অবস্থা। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় জল জমে দুর্বিসহ পরিস্থিতি। প্রতিদিন চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় উঠে এসেছে রাস্তার হতশ্রী ছবি। বৃষ্টি কমলেও বড় বড় খানা-খন্দে জল জমে রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বীরভূম, বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুর, পূর্ব বর্ধমান, সব জায়গায় যন্ত্রণার একই ছবি। ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। কিন্তু কলকাতার এত কাছে এভাবে যে জলে ডুবে শিশুকন্যার প্রাণ চলে যাওয়ার ঘটনা মানতে পারছেন না এলাকাবাসী।






















