North 24 Pargana: 'ভিতরে কোনও বোমা ছিল না, বাইরে থেকে ছোড়া হয়েছে, দাবি স্কুলের শিক্ষক ও নিরাপত্তারক্ষীর
স্কুল, কথায় বলে ‘সেকেন্ড হোম’সন্তানকে যেখানে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত হন মা-বাবারা সেই স্কুলেই ক্লাস চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণ! উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলে বিস্ফোরণের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল!
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলের ভিতরে কোনও বোমা ছিল না। বাইরে থেকে বোমা ছোড়া হয়েছিল, দাবি স্কুলের এক শিক্ষক ও নিরাপত্তারক্ষীর। টিটাগড়ে ক্লাস চলাকালীন স্কুলের ছাদে বিস্ফোরণ। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়া, শিক্ষক সকলেই। বাইরে থেকে বোমা ছোড়া হয়েছিল? না মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্কুল, কথায় বলে ‘সেকেন্ড হোম’সন্তানকে যেখানে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত হন মা-বাবারা সেই স্কুলেই ক্লাস চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণ! উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলে বিস্ফোরণের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল! ঘড়ির কাঁটায় বেলা প্রায় পৌনে ১২টা। স্কুলে তখন সেকেন্ড পিরিয়ড চলছে, হাজির প্রায় ৮০০ পড়ুয়া। আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বিল্ডিং
হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। বাইরে তখন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে চারদিক দৌড়ে ছাদে যেতেই দেখা যায়, তাজা বোমার দাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বোমার সুতলি, স্প্লিন্টার টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরএ সিদ্দিকির কথায়, সেকেন্ড পিরিয়ড চলছিল। হঠাত্ আওয়াজ। বাইরে বেরিয়ে দেখি ধোঁয়া। সবাই ছুটল। ছাদ সবসময় বন্ধ থাকে। এসে দেখলাম বোমা পড়েছে। স্প্লিন্টার পড়েছে। কালেক্ট করে নিয়ে এল। ওপর থেকেই ফেলেছে। নিচ থেকে সম্ভব নয়। কিন্তু স্কুলের ছাদে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? বোমা কি ছোড়া হয়েছে? নাকি ছাদে বোমা মজুত ছিল?
টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক খালিদ তনবীর বলছেন, ওপরের দিক থেকে ফেলেছে মনে হচ্ছে। একটা বিল্ডিং উঁচু। বাদবাকি সব নীচু। এতবছরে কখনও হয়নি। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। টঅলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, এখানে কোথা থেকে বোমাটা ছোড়া হয়েছে, এই জিনিসটা আমরা ফরেন্সিককে ডেকে...আমরা খুবই প্রাইমারি স্টেজে আছি। কারা ছুড়েছে, কেন ছুড়েছে, এই জানার জন্য আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইনভেস্টিগেশন চলছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
উল্লেখ্য়, টিটাগড়ে স্কুলে বিস্ফোরণ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য সন্ত্রাসের আঁতুরঘর হয়ে গেছে। এখানে একটাই শিল্প, বোমাশিল্প, আক্রমণ লকেটের। বাংলার বদনাম মানুষ মেনে নেবে না, পাল্টা মন্তব্য অর্জুন সিংহের। টিটাগড় স্টেশন রোড অত্যন্ত জনবসতিপূর্ণ এলাকা টিটাগড় থানা থেকে স্কুলের দূরত্ব মেরে কেটে সাড়ে তিনশো মিটার দু’-পা এগোলেই রেলস্টেশন, একটু দূরেই বাজার। কাছেই পুরসভা এমন জায়গায় দিনেদুপুরে স্কুলের মধ্যে বিস্ফোরণ! যখন কিনা স্কুলের ভিতর রয়েছে ৮০০ পড়ুয়া। কিন্তু, কে বা কারা বোমা ছুড়ল? ছোড়ার নেপথ্যে কী কারণ? এই নিয়েই তরজা।