(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
North 24 Parganas: আড়িয়াদহে প্রাসাদোপম বাড়ি জয়ন্তর, জমির মালিক কে? খোঁজ শুরু পুরসভার
Ariadaha Case: আড়িয়াদহকাণ্ডে ধৃতের বিরুদ্ধে বাড়ির পিছনে পুকুরের একাংশ দখলের অভিযোগও তুলেছেন পুকুর মালিক। এবার আরও চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা।
সমীরণ পাল, আড়িয়াদহ: আড়িয়াদহকাণ্ডে ধৃত জয়ন্ত সিংহর অট্টালিকার জমি দিলীপ মুখোপাধ্য়ায় নামে এক ব্য়ক্তির নামে রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এই তথ্য় দিয়েছে। চাঞ্চল্য়কর দাবি কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্য়ান গোপাল সাহার। জমি মালিকের খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আড়িয়াদহে বহু চর্চিত অট্টালিকা জয়ন্ত সিংহ-এর বলেই দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু, অন্য়ের জমি দখল করে কি তৈরি হয়েছে জয়ন্ত সিংহর 'জায়ান্ট' হাউস? জয়ন্তর অট্টালিকাকে আগেই অবৈধ ঘোষণা করেছে কামারহাটি পুরসভা। আড়িয়াদহকাণ্ডে ধৃতের বিরুদ্ধে বাড়ির পিছনে পুকুরের একাংশ দখলের অভিযোগও তুলেছেন পুকুর মালিক। এবার আরও চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা। তাঁর দাবি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, যে জমিতে বাড়িটি তৈরি বয়েছে, সেই জমিই জয়ন্তর নয়। এবিষয়ে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্য়ান গোপাল সাহা বলেন, "এই জমিটা জয়ন্তর নয়। আমরা যখন খুঁজতে শুরু করলাম বেআইনি বাড়ি তার ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছি না কার জায়গা? শেষে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম আমার পুরসভার যে জায়গাটায় বাড়িটা হয়েছে তার দাগ নম্বর। সেই দাগ নম্বর নিয়ে BLRO-র কাছ থেকে আমরা সব তথ্য পেলাম যে এই জমিটা জয়ন্ত বা জয়ন্তর পরিবারের নয়।''
কামারহাটির প্রতাপ রুদ্র লেনে জয়ন্ত সিংহর যে সুবিশাল অর্থাৎ বিলাসবহুল যে বাড়ির হদিশ পাওয়া গেছিল তারপরে যখন কামারহাটি পুরসভা দেখে যে এই বাড়ি সম্পর্কে কোনও নথি বা তথ্য পুরসভার কাছে নেই। তারপরে কামারহাটি পুহরসভার তরফ থেকে তদন্ত শুরু করা হয় এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছ থেকে রেকর্ড জানতে চাওয়া হয়। আর সেই রেকর্ড দেখে জানা যাচ্ছে যে জমিটি দিলীপ মুখোপাধ্য়ায় নামে এক ব্য়ক্তির নামে। এখনও দিলীপ মুখোপাধ্য়ায়ের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুরসভার তরফে যেটা জানানো হচ্ছে যে দিলীপ মুখোপাধ্য়ায়ের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যদি না পাওয়া যায় এই বড়ির গেটে নোটিস দেওয়া হবে। গোপাল সাহা বলেন, " যাঁর নামে আছে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। কারণ জমিটা যাঁর নামে আমি তো নোটিস তাঁকে দেব। যদি আমরা না পাই তাহলে নোটিস ওই বাড়িতে সেঁটে দেব।
কামারাহাটি পুরসভার প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, "মালিককে যদি খুঁজে না পাওয়া যায় পুরসভার তো অনেক আগেই জমিটা নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। মালিককে খুঁজে পাচ্ছেন না। অন্য় মালিকের নামে বাড়ি হয়ে গেল পুরসভার নজরে পড়ল না? একটা মানুষ যদি চার ইঞ্চি বাড়িতে বাড়াতে দেওয়াল তাহলে তো সঙ্গে সঙ্গে পুরসভার লোকেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর নির্মাণ বন্ধ করে দিত। তাহলে এরকম একটা বিল্ডিং প্ল্য়ান ছাড়া, হোল্ডিং নম্বর ছাড়া বিল্ডিং তৈরি হয়ে গেল। তো রাতারাতি তৈরি হয়নি। দিনের পর দিন, এক দেড় বছর লেগেছে। তখন পুরসভা কী করছিল?''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Khardah: ছুটে আসছে ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস, খোলা লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ গাড়ির