Gold Seized : কলকাতার পর এবার বাগদা, বিএসএফের অভিযানে উদ্ধার আড়াই কেজি সোনা, আটকাল চোরাচালান
BSF Raid : দিনদুয়েক আগেই সীমা চৌকির জোয়ানরা স্প্রে মেশিনের ভিতর থেকে ২.২১৬ কেজি ওজনের ১৯ টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করেছিল। ১৯টি সোনার বিস্কুট-ও বাজেয়াপ্ত করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : কলকাতায় (Kolkata) ফের খোঁজ যকের ধনের। ইডি-র তল্লাশিতে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল টাকা। কলকাতার পাশাপাশি বাগদাতেও উদ্ধার আড়াই কেজি সোনা। বিএসএফের (BSF) হানা তল্লাশিতে আটকানো হয় বিপুল পরিমাণ সোনা চোরাচালানের প্রচেষ্টা। বিএসএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার হয়েছে ২১টি সোনার বিস্কুট। যে পরিমাণ সোনার ওজন ২ কেজি ৪৫০ গ্রাম। বিএসএফের অভিযানে উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
এক কোটির সোনা আটক বিএসএফের
বাগদায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মামাভাগ্নে গ্রামে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ৬৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। স্থানীয় এক নাগরিক একটি বালতি (বেগুন এবং ওষুধের একটি প্লাস্টিকের বোতল) নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে আসে। গেট ম্যানেজমেন্ট ডিউটিতে নিয়োজিত বিএসএফ জওয়ানরা তাঁকে তল্লাশির জন্য থামায়।
বিএসএফ সদস্যরা যখন বালতি ও প্লাস্টিকের বোতল তল্লাশি করছিল, ধরা পড়ার আশঙ্কা বুঝতে পেরে চম্পট দেয় সন্দেহভাজন। তল্লাশির সময় একটি প্লাস্টিকের ওষুধের বোতলের ভিতরে লুকিয়ে রাখা ২১ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়, যে সোনার বিস্কুটের মোট ওজন ২.৪৫০ কেজি, যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয় অভিযান
দিনদুয়েক আগেই সীমা চৌকির জোয়ানরা স্প্রে মেশিনের ভিতর থেকে ২.২১৬ কেজি ওজনের ১৯ টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করেছিল। ১৯টি সোনার বিস্কুট-ও (gold biscuit) বাজেয়াপ্ত করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) আধিকারিকরা।
অতীতেও এক ঘটনা -গত জুলাইয়েই প্রায় এক ধরনের আরও একটি ঘটনার সাক্ষী ছিল বিএসএফ। সে বার বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় সাড়ে ৪১ কেজি সোনা উদ্ধার হয়! সে বার বনগাঁর গুনারমাঠ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। সূত্রের খবর মেলে, ইছামতীতে নৌকা করে পাচারের সময় ২১ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল সোনা পাচারকারীরা। তার পরই ওই নৌকা থেকে ৩২১টি সোনার বিস্কুট, ৪টি সোনার বার, ১টি সোনার কয়েন উদ্ধার হয় যার বাজারমূল্য ছিল ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। পাচারকারীদের মোবাইল ফোনও বিএসএফের হাতে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও কেন পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না সোনা পাচার? কোথাও কি কিছু ফাঁক থেকে যাচ্ছে এখনও?কী করলে পাচারকারীদের চেনা পথ বন্ধ করা যাবে? প্রশ্ন উঠেছে, উঠছে। বারে বারেই। কিন্তু উত্তর কোথায়?এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ঘণ্টায় লাফিয়ে বাড়ছে উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক, এখনও খোঁজ ১২ কোটির, চলছে গণনা