Duttapukur Incident : রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর পুলিশের একাংশেরই লোভেই কি বারুদের স্তুপে বাংলা ? উঠছে প্রশ্ন
Police- Administration Inactiveness : 'বিস্ফোরক' শিল্পই কি বাংলায় এখন কর্মসংস্থানের একমাত্র উপায় ? তাই কি বারবার ছিন্নভিন্ন হচ্ছে প্রাণ ? আর চুপ করে বসে দেখছে পুলিশ ?
সমীরণ পাল, পার্থপ্রতিম ঘোষ, আবির দত্ত, উত্তর ২৪ পরগনা : এগরাকাণ্ডের (Egra Incident) সাড়ে ৩ মাসের মাথায় এবার দত্তপুকুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। প্রাণ গেল ৯ জনের। যত্রতত্র উদ্ধার হয়েছে, দেহাংশ। এফআইআরে নাম থাকা ৪ জনের মধ্যে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। অন্য একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের মদতেই চলত বেআইনি কারবার। প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর পুলিশের একাংশেরই লোভেই কি বারুদের স্তুপে বাংলা ?
দত্তপুকুর থানার (Duttapukur Incident) মোচপোলের বিস্ফোরণস্থল ও চারপাশের এই ছবি শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কোথাও উড়ে গেছে আস্ত একটা পাকা বাড়ি। কারও গোটা শরীরটাই উড়ে গিয়ে পড়েছে পাশের বাড়ির চালে। এগরার বিস্ফোরণের সাড়ে ৩ মাসের মাথায় এবার দত্তপুকুর।
'বিস্ফোরক' শিল্পই কি বাংলায় এখন কর্মসংস্থানের একমাত্র উপায় ? তাই কি বারবার ছিন্নভিন্ন হচ্ছে প্রাণ ? আর চুপ করে বসে দেখছে পুলিশ (Police) ?রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর পুলিশের একাংশেরই লোভেই কি বারুদের স্তুপে বাংলা ? স্থানীয়দের অভিযোগ, 'শুধু পুলিশের তোলা আর তৃণমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছিল। আগে কাটমানি ১০ হাজার হলে, এখন ২০ হাজার। আগে ৫০ হাজার নিলে, এখন এক লাখ। পঞ্চায়েতের পাশে কার্যত এটিএম খুলেছিল পুলিশ। ফাঁড়িতে পৌঁছে যেত তোলার টাকা।'
গত রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ বিকট শব্দে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকা। ধ্বংসের ধুলোর আস্তরণ সরতেই উদ্ধার হতে শুরু করে একের পর এক পোড়া দেহ, দেহাংশ। শোনা যায় ঝলসে যাওয়া মুুমুর্ষের গোঙানির আওয়াজ। বাসিন্দাদের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূলকর্মী সামসুল আলির বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজি কারখানা (Illegal Crackers Factory) চালাতেন কেরামত আলি। রবিবারের বিস্ফোরণে যে দু'জনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কারখানার মালিক কেরামত আলিরও ছেলে রবিউলেরও।
ঘটনাস্থল থেকে ৬৫০ মিটার দূরে গবেষণাগারের আকারে আরেকটি বাজি কারখানার হদিশ মিলেছে ! দেখা যাচ্ছে, মাত্র-দেড় কিলোমিটারের মধ্য়ে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় বেআইনি বাজি কারখানা। এদিকে, সোমবার সকালেও ঘটনাস্থলের কাছে উদ্ধার হয় আরও একটি মৃতদেহ। দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিটার দূরে পড়ে কাটা আঙুল ! সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা NIA।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন