Duttapukur Incident: টাকার লোভ দেখিয়েছিল কেরামত! দাবি নিহত সামসুলের মায়ের
North 24 Parganas:মৃত সামসুলের মায়ের দাবি, এভাবে বাড়ির মধ্যে বোমা তৈরিতে তাঁদের আপত্তি ছিল।
দত্তপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুর বিস্ফোরণের (Duttapukur Incident) ৩ দিনের মাথায়, মুখ খুললেন মৃত সামসুল আলির মা আসুরা বিবি। তাঁর দাবি, পেশায় দিনমজুর সামসুলকে টাকার লোভ দেখিয়েছিল কেরামত। ওর চাপেই সামসুলের বাড়ির সামনের অংশে বাজি কারখানা তৈরি হয়। মৃত সামসুলের মায়ের দাবি, প্রথমে আলু বোমা তৈরি হলেও টাকার লোভে বোমা বানানো শুরু করেছিল কেরামতরা। ড্রাম ড্রাম বোমা তৈরির মশলা আনা হত। ঘটনার দিন অর্থাৎ রবিবার এমন একটি ড্রাম খুলতে যায় কেরামত। তখনই বিস্ফোরণ হয়। মৃত সামসুলের মায়ের দাবি, এভাবে বাড়ির মধ্যে বোমা তৈরিতে তাঁদের আপত্তি ছিল। আশেপাশের বাসিন্দারাও প্রতিবাদ করেন। কিন্তু সবাইকে দাবড়ানি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখত কেরামত।
পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক:
আলু-পেঁয়াজের আড়ালে বাজির কারবারের কথা সামনে এসেছিল। এর পর চাল-ডাল-চিনির আড়ালে বাজি কারবারের কথাও সামনে এল। দত্তপুকুরের মোচপোলে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচার বলে সন্দেহ। বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০-১৫ ফুট দূরে পরপর দুটি গুদাম রয়েছে। কোনও বস্তায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, কোনওটায় পাঞ্জাব সরকার, আবার কোনওটায় কর্ণাটকের চিনি কলের ছাপ মারা। দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ৩ দিন পরেও বারুদে ঠাসা এইসব গুদামে এখনও পুলিশের নজর পড়েনি। এদিকে দত্তপুকুর কাণ্ডে কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। বারাসাতে ডিএসপি ট্রাফিকের অফিসে রাখা রয়েছে বাজেয়াপ্ত করা বেআইনি বাজি। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা এত বিপুল পরিমাণ বাজি মজুত রাখায় প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নিয়ম মেনে বাজেয়াপ্ত হওয়া বাজি মজুত করা আছে, সময় মতো নিষ্ক্রিয় করা হবে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, 'বাজেয়াপ্ত বাজির কথা কি সিজার লিস্টে উল্লেখ করা হয়েছে? কেন এ বিষয়ে বাজি বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো হচ্ছে না? বারাসাতে ডিএসপি ট্রাফিকের অফিস কি ডাম্পিং গ্রাউন্ড? চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য বাজি নিষ্ক্রিয় করার কথা বলা হচ্ছে।'
লাগাতার তল্লাশি:
দত্তপুকুর বিস্ফোরণের পর বেআইনি বাজি রুখতে পুলিশের তল্লাশি, ধরপাকড়। এবার বারাসাতেও মিলল বেআইনি বাজির হদিশ। বারাসাতের আক্রমপুরে দুটি গুদামে হানা দেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ মোট ৫৮ টন বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। আমডাঙায় ৩ ট্রাক ভর্তি বেআইনি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ঘোলায় বাজেয়াপ্ত ৩ ট্রাক ভর্তি বেআইনি শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। আমডাঙা ও ঘোলা মিলিয়ে প্রায় ৫০ টন নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত বাজির বাজারমূল্য ৩০ লক্ষ টাকা, গ্রেফতার ৪ জন।
আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে ED নোটিশ