North 24 Parganas: 'দিদির দূত' মন্ত্রী! গরহাজির তৃণমূল নেত্রী, কেন এলেন না তিনি?
Didir Doot: আইপ্যাকের তরফে ফোন করে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিরত থাকতে বলা হয় বলে অভিযোগ করলেন ওই তৃণমূল নেত্রী।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বারবার 'দিদির দূত' -এর অনুষ্ঠানে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূল নেতারা। একই ছবি দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনাতেও। হাবড়ার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের অন্দরের অনৈক্য। দিদির দূত তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কর্মসূচিতে গড়হাজির থাকলেন এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। আইপ্যাকের তরফে ফোন করে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিরত থাকতে বলা হয় বলে অভিযোগ করলেন ওই তৃণমূল নেত্রী । তৃণমূলের কোন্দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, দিদির দূত হিসাবে বসিরহাটের আমলানি গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক।
হাবড়ার কুমড়ো পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী ও প্রাক্তন প্রধান রত্না বিশ্বাস বলেন, 'শুক্রবার রাতে আইপ্যাক-এর তরফে ফোন করে বলা হয় আপনার বাড়িতে কর্মসূচির ব্যবস্থা করার কথা ছিল, সেটা করতে হবে না। এমনকী দিদির দূত কর্মসূচিতে যোগদানেও বারণ করা হয়।' এই নিয়ে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকার তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস।
শনিবার, হাবড়ায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে কুমড়ো পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংযোগে যান হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অভিযোগ, সেই কর্মসূচিতে তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠরা থাকলেও, এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রত্না বিশ্বাসকে যোগদানে বিরত থাকতে বলা হয়।
যদিও হাবড়ার তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'এরকমভাবে কেউ কিছু বারণ করেছে বলে জানা নেই।'
বিজেপির খোঁচা:
এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, 'জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে হাবরার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে তা আজ আবার প্রমাণিত হল। রত্না বিশ্বাসের গ্রামে দিদির দূত হয়ে গেছেন মন্ত্রী অথচ রত্না বিশ্বাসকে না আসতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ওখান থেকে একটি আসনও জিততে পারবে না।'
অন্যত্রও বিক্ষোভ:
এদিনই বসিরহাটে তৃণমূলের দিদির দূতের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। শনিবার, আমলানি গ্রামে যান মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। সেই সময়ই বেহাল রাস্তা থেকে আবাস-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা। যার জেরে কর্মসূচির মাঝপথেই সপারিষদ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: 'রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা', ভাঙড়কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শান্তনুর