(Source: ECI | ABP NEWS)
North Bengal Disaster: কার্শিয়াংয়ের কাছে রোহিণী রোডে ভয়াবহ ধস, বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি এমন মারাত্মক বিপর্যয়
Kurseong Rohini Road Landslide: রোহিণী রোডে যে ধস দেখা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে এমন বিপর্যয় এই রাস্তায় দেখা গিয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না।

আবির দত্ত, রোহিণী : শনিবার রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে কার্শিয়াং থেকে পাহাড়ে ওঠার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রোহিণী রোডেও দেখা গিয়েছে মারাত্মক ধস। দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ির মধ্যে জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এই রাস্তায় ধস নামার ফলে। নিরাপত্তার কারণে প্রশাসনের তরফে এই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে দার্জিলিং থেকে রোহিণী রোড হয়ে শিলিগুড়ি আসা যাচ্ছে না। একমাত্র পাঙ্খাবাড়ি হয়ে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়া যাবে। তবে সেক্ষেত্রে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। বিপদের আশঙ্কাও থাকছে। ঝুঁকিও রয়েছে।
সাধারণত এই ধরনের মারাত্মক ধস দেখা যায় মূলত জাতীয় সড়কে, সেবক হয়ে যে রাস্তা কালিম্পংয়ের দিকে যায়, তেমন রাস্তায়। তবে রোহিণী রোডে যে ধস দেখা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে এমন বিপর্যয় এই রাস্তায় দেখা গিয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। ঘুম হয়ে মিরিক যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এই রোহিণী রোড, যা ভেঙে গিয়েছে। তার জেরে দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ির মধ্যে যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। স্থানীয় কিছু বাইক ছাড়া কিচ্ছু চলছে না এই রাস্তায়। প্রশাসনের তরফে বন্ধ করা হয়েছে যান চলাচল। আগামীকাল প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।
রোহিণী রোডে ধস নামায় পুজোর ছুটিতে দার্জিলিংয়ে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা আটকে পড়েছেন সেখানেই। দার্জিলিং থেকে তাঁরা শিলিগুড়িতে আসতে পারছেন না সহজে। একমাত্র পাঙ্খাবাড়ি হয়েই দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িতে নামা যাবে। তবে সেখানেও রয়েছে বিপদের হাতছানি, ঝুঁকির আশঙ্কা এবং তীব্র যানজটের সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পর্যটকরা।
অন্যদিকে, সুখিয়াপোখরি এবং শিলিগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে লাগাতার বৃষ্টির জেরে। কার্শিয়াংয়ের গৌরীশঙ্কর চা বাগানের কাছে রাস্তায় নেমেছে ধস। হুইসলখোলার কাছে বন্ধ ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দার্জিলিংয়ের বিজবাড়ির কাছে পুলবাজার সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। চিত্রা এবং শ্বেতিঝোরার মাঝে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে বলে জানা যাচ্ছে। জলদাপাড়ায় দেখা গিয়েছে হৃদয়বিদারক ছবি। প্রাণ বাঁচাতে লোকালয়ে চলে এসেছে বন্যপ্রাণ। জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে গণ্ডার। অন্যদিকে আবার হাতির পিঠে চাপিয়ে পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে জলদাপাড়ায়। লাটাগুড়িতে কোমর সমান জল দড়ি ধরে পার করেছেন হোম-স্টেতে থাকা পর্যটকরা। তাঁদের উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কার্শিয়াংয়ের রোহিণী রোডেও দেখা গিয়েছে মারাত্মক ধস।























