North Bengal Train Accident: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, উল্টে গেল গুয়াহাটিগামী বিকানির এক্সপ্রেস
Train Accident: লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কামরা। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ট্রেন। প্রতি ঘণ্টায় সম্ভাব্য ৪০ কিমি বেগেই চলছিল ট্রেন। বহু হতাহতের আশঙ্কা
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গ: বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনা, উল্টে গেল পাটনা (Patna) থেকে গুয়াহাটিগামী ১৫৩৬৬ আপ বিকানের এক্সপ্রেস (Bikaner-Guwahati Express)। ময়নাগুড়ির (Moynaguri) দোমহনি এলাকায় দুর্ঘটনা। ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কামরা। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ট্রেনের কামরাগুলি। প্রতি ঘণ্টায় সম্ভাব্য ৪০ কিমি বেগেই চলছিল ট্রেনটি। কী কারণে দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখছে রেল।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় আরপিএফ পাঠানো হচ্ছে এলাকায়। উদ্ধারের জন্য পাঠানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেন। ডিআরএম-সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। যাত্রী বোঝাই চারটি কামরা লাইনচ্যূত হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। একটির ওপর অন্য কামরা উঠে গিয়েছে। ক্রমশ আশঙ্কাজনক হচ্ছে পরিস্থিতি।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে আহতদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সন্ধে হয়ে আসার কারণে উদ্ধারকার্যে বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের। তবে সূত্রের খবর ইতিমধ্য়েই আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে। গ্যাসকাটার দিয়ে কেটে বার করা হচ্ছে কামরাগুলি, বের করা হচ্ছে যাত্রীদের। প্রাণ বাঁচাতে ঝাপ দিয়েছে অনেকেই। বহু যাত্রী লাইনের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছেন। ইঞ্জিনের পর থেকে সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ১২টি কামরা।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল (Jalpaiguri Sadar Hospital) থেকে ইতিমধ্যেই ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রস্তুতির।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময়েই দুর্ঘটার খবর পান মুখ্যমন্ত্রী। পদস্থ কর্তাদের ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ। পাশাপাশি বৈঠক চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ট্রেন দুর্ঘটনার খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
- ৬.১০ মিনিটে পাওয়া খবর অনুযায়ী ৩ জনের মৃত্যু
- ১০-২০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
- ট্রেনের হেল্পলাইন নম্বর 813405499
- বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা
- ঘটনাস্থলে ৫১টি অ্যাম্বুলেন্স