Goalpokhar Encounter: কীভাবে বিচারাধীন বন্দির হাতে অস্ত্র? গোয়ালপোখরের ঘটনায় সাসপেন্ড ৪ পুলিশ কর্মী
North Dinajpur News: উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে, বাংলাদেশ সীমান্তে, এনকাউন্টারে মৃত্য়ু হল পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলমের।

সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশ সীমান্তে নিহত হল উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের পলাতক বন্দি। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশে পালানোর সময় সাজ্জাক আলম ধরা পড়ে। আত্মসমর্পণ করতে বলায় গুলি চালায় সাজ্জাক। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। এখনও অধরা নিহত বন্দির সাহায্যকারী। কীভাবে বিচারাধীন বন্দির হাতে অস্ত্র? সাসপেন্ড করা হয়েছে ৪ পুলিশ কর্মীকে।
পুলিশের গুলিতেই শেষ, পুলিশকে গুলি করে পালানো পলাতক বন্দি। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে, বাংলাদেশ সীমান্তে, এনকাউন্টারে মৃত্য়ু হল পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলমের। ২০১৮ সালে করণদিঘির একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি ছিল সাজ্জাক আলম। বুধবার কোর্ট থেকে ফেরার সময় পাঞ্জিপাড়া মোড়ের কাছে শৌচাগারে যাওয়ার অছিলায় পুলিশের বাস থেকে নেমে পুলিশকে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালায় সাজ্জাক। সিসিটিভি ফুটেজে তার পালানোর ছবিও ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে গোয়ালপোখরের শ্রীপুর সীমান্ত লাগোয়া কীচকটোলা গ্রামে গা ঢাকা দিয়েছিল সাজ্জাক।
শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ঘন কুয়াশার মধ্যে নদীর পাড় ধরে সেতুতে ওঠার আগেই সাজ্জাককে দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। পুলিশকে দেখেই পালায় সাজ্জাক। পুলিশের দাবি, তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর এদিনও ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সাজ্জাক। তখন পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। ADG আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, "সকাল ৭টা নাগাদ ওকে (সাজ্জাক) চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়েছিল আত্মসমর্পণ করতে। কিন্তু সেটা না করে, সে গুলি চালায় এবং পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। অস্ত্রটা উদ্ধার হয়েছে। আমরা দেখছি, এটা সেই অস্ত্র কি না, যেটা দিয়ে সেদিন (পুলিশকে) গুলি করা হয়েছিল।''
বুকে, কাঁধে ও পায়ে, ৩টি গুলি লাগে সাজ্জাকের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। লোধন গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক মহম্মদ আমের বলেন, "৩টে গুলি ছিল। একটা বুকের বাঁ দিকে, একটা কাঁধে, একটা পায়ে। খুবই খারাপ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু বাঁচানো যায়নি।''
এনকাউন্টারে সাজ্জাকের মৃত্য়ু হলেও, তার সাহায্যকারী আব্দুল হোসেন এখনও অধরা। অনুপ্রবেশের একটি মামলায় কিছুদিন ইসলামপুর জেলে ছিল, বাংলাদেশের নাগরিক আবদুল হোসেন। সেখানেই খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মাস পাঁচেক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় আব্দুল। বুধবার কোর্ট লক আপে সাজ্জাকের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এই বাংলাদেশি আবদুলই। পুলিশকে গুলি মারার পর, পুলিশের গুলিতেই সাজ্জাক নিহত হলেও, আবদুলের কোনও খোঁজ এখনও নেই।
আরও পড়ুন: Baghajatin Building Collapse: এবার লোহার বিম দিয়ে সাপোর্ট, বাঘাযতীনের হেলে পড়া বহুতল ঘিরে তুঙ্গে তরজা






















