Mamata Banerjee: “আমি করে দিয়ে এসেছিলাম, আজ সেই দুরন্তের কী হাল, রেলটাকে বেচার জন্য রেখে দিয়েছে”, আক্রমণে মমতা
Odisha Train Accident: রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রেলের দুরাবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা।
কলকাতা: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেনে দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র তৈরিতে উদ্যোগী হন তিনি, শনিবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েই জানিয়েছিলেন বাংলার মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন তিনি। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার শুধু বড় বড় বুলি আওড়ায়, কাজের কাজ কিছু করে না বলে এ দিন মন্তব্য করলেন মমতা (Odisha Train Accident)।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রেলের দুরাবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, "আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, নতুন প্রযুক্তির সিগনাল ছিল না। আনম্যান্ড লেভেল ক্রসিংই ছিল বেশি। সিগনাল পাল্টাই আমরা, নতুন প্রযুক্তি বসাই, পাল্টাই টেলিকম ব্যবস্থা। দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র বসাই আমরা। প্রায় ৪০০ লেভেল ক্রসিংয়ে কর্মী মোতায়েন করি।"
রেলের পরিকাঠামো নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতা বলেন, "রেলের জন্য কিছু করেনি এই সরকার। রেলটাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। আমি দুরন্ত করে দিয়ে এসেছিলাম। সেই দুরন্তের আজ কী হাল করেছে! বন্দেভারত করেছে। নাম ভাল। সে নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন কী হচ্ছে। মাথার উপর বাজ পড়ে গেল। দমবন্ধ অবস্থায় বসে রইলেন যাত্রীরা। পচা খাবার খেয়ে কাটালেন। বন্দেভারতের ইঞ্জিনটা কোথায় তৈরি, খুঁজে বের করুন দেখি!"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: দুর্ঘটনায় আহত হননি, কিন্তু ট্রমায় রয়েছেন, তাঁদের জন্যও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মমতার
রেলের ভূমিকা নিয়ে গতকালই সরব হন মমতা। বালেশ্বরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সামনেই রেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। ট্রেনে কেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র ছিল না, প্রশ্ন তোলেন। এমনকি মৃতের সংখ্যা নিয়েও দু'জনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ দিন সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "আমি একটিও বাজে কথা বলিনি। যতটা বলার ছিল বলেছি। অনেক বলতে পারতাম। তিন বছর ছিলাম। বাড়তি দাবি-দাওয়া নিয়ে সাত-আটটা বাজেট করেছি। রেল আমার হাতের তালুর মতো চেনা। কাল তো হাঁটতে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছিলাম। মানে রক্ষণাবেক্ষণ নেই। মাঝে মাঝে পাথর পাল্টাতে হয়। কিন্তু তা হয়নি। সিগনাল নেই। ভগবানের দয়ায় চলছে।"
রেল বাজেটও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন ফের মুখ খোলেন মমতা। বলেন, "রেলভবনও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আগে আমি রেলের এমপ্লইজ ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। এখন তো কথা বলতে ভয় পায়। রেলকে বেচার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।"