Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি'তে নেই শুভেন্দু, কেন? নিজেই জানালেন কারণ
CV Ananda Bose: তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দু। বিবৃতিতে কড়া ভাষায় আক্রমণ
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, আশাবুল হোসেন ও রঞ্জিৎ হালদার: সরস্বতী পুজোর দিন রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। জগদীপ ধনকড় রাজ্য়পাল থাকাকালীন, মাঝে মাঝেই তাঁর কাছে অভিযোগ জানাতে যেতেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু, রাজ্য়পাল বদলের পর, বদলেছে সমীকরণ। সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি বহু প্রাচীন প্রথা। সময় যতই আধুনিক হোক, এই দিনে হাতেখড়ি দিয়ে শিক্ষা শুরুর প্রচলন আজও আছে। কিন্তু, বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব ছিল একেবারে আলাদা।
বাগদেবীর আরাধনার দিনে, রাজভবনে আনন্দ-উৎসব। সেখানে মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজভবনে রাজ্য়পালের হাতেখড়ি হল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান নিয়ে আগাগোড়া রয়ে গেল রাজনৈতিক রং। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে, এই অনুষ্ঠানেও বজায় রইল রাজনৈতিক শৈত্য়। ছত্রে ছত্রে বিদ্রুপ-সহ দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে। মুখ্য়মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য়পালের হাতেখড়ি থেকে দূরত্ব রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। না যাওয়ার কারণ হিসেবে, একটি বিবৃতিতে শুভেন্দু কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, 'শিক্ষা দফতরে সংক্রামিত দুর্নীতির 'ক্য়ুইন পিন' তিনি। মেধাবী প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় অযোগ্য় প্রার্থীরা বান্ডিল বান্ডিল টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল এই দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতে। কী দুর্ভাগ্য়জনক!'
শুভেন্দুর ক্ষোভ:
রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস যখন হাসি মুখে, উৎসাহভরে বাংলায় হাতেখড়ি নিচ্ছেন, তার আগে বিবৃতিতে শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, 'হাতে খড়ি' হল শিক্ষার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক পরিচয়। একজন শিক্ষার্থী তাঁর উপস্থিতিতে, মিষ্টি বাংলা ভাষা শেখার, প্রথম পদক্ষেপ নিতে চাইছেন। কিন্তু, আমার মনে হয়, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁকে অনুচিত শিক্ষা দেওয়া থেকে, নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন না। করদাতাদের টাকা খরচ করে, এরকম অসঙ্গত এবং হাস্য়কর পরিস্থিতির সাক্ষী আমি থাকতে পারব না।' শুভেন্দুকে পাল্টা তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্য়পাল পদে সিভি আনন্দ বোসের শপথেও অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবারও অনুপস্থিত তিনি।
জগদীপ ধনকড় তৃণমূল সরকারের সঙ্গে যেভাবে তুমুল সংঘাতে জড়িয়ে ছিলেন। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীরা নিত্য়দিন ধনকড়ের কাছে গিয়ে তৃণমূলে বিরুদ্ধ নালিশ করতেন এবং ধনকড় সঙ্গে সঙ্গে কড়া সমালোচনা করতেন। তার থেকে এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের এই নতুন সম্পর্কের নেপথ্য়েও কি বিশেষ কোনও কারণ আছে? না কি বহুদিন বাদে ফিরে এল পুরনো সৌজন্য়?
আরও পড়ুন: প্রতীকী হাতেখড়ি নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপি-র, উল্টো অবস্থান তথাগতর, মুগ্ধ হলেন রাজভবনের অনুষ্ঠান দেখে!