South 24 Parganas: মগরাহাটে জাল নোট-সহ ধৃত ব্যক্তি
Fake Note: জাল নোট-সহ গ্রেফতার এক ব্যক্তি। উদ্ধার হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট। জয়নগর থানার পুলিশ রথতলা এলাকা থেকে জাল নোট-সহ এক ব্যক্তিকে গত কাল রাত গ্রেফতার করে।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জাল নোট-সহ (Fake Currency) গ্রেফতার এক ব্যক্তি (1 Person Arrested)। উদ্ধার হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট। গোপন সূত্রে খবর, জয়নগর (Jainagar Police Station) থানার পুলিশ রথতলা এলাকা থেকে জাল নোট-সহ এক ব্যক্তিকে গত কাল রাত গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম রঞ্জিৎ পাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট থানা (magrahat police station) এলাকার বাসিন্দা। উল্লেখ্য, জাল নোট নিয়ে বার বার হইচই হয়েছে রাজ্যে।
প্রেক্ষাপট...
কিছু দিন আগে জাল নোটের পাহাড় মেলে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে হদিশ মেলে! ২৪ লক্ষ টাকারও বেশি জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে NH34-এর উপর থেকে ২৪ লক্ষ ২১ হাজার টাকার জাল নোটের হদিশ। এক ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে। বিরাটিতে শুল্ক দফতরের অভিযানে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। ব্যাগ ভর্তি ৫০০ টাকা ও ২ হাজার টাকার জাল নোট। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে জাল নোটের কারবার বলে সন্দেহ শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশে কি এই টাকা বানানো হচ্ছে? ওই ব্যক্তি একাই রয়েছেন, না কি আরও কেউ রয়েছে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই টাকা? এই প্রশ্নেরই খোঁজে তদন্তকারীরা।
মালদাতেও বিপুল টাকা উদ্ধার:
একদিকে বিরাটিতে যখন জালনোট মিলেছে, তখন সেদিনই মালদায় বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হয়। সীমান্তবর্তী জেলার কালিয়াচকে লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ মেলে। এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বহু পরিমাণ নগদ উদ্ধার (Money Recovery) হয়। যার মোট মূল্য ৩৩ লক্ষ টাকা। পুলিশি অভিযানে এই টাকা উদ্ধার হয়। মালদায় ফের উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। যা যা টাকা উদ্ধার হয়েছে সবই ১০০ টাকার এবং ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। কোথা থেকে এল এত টাকা? নেপথ্যে কী? পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, কেন এত টাকা মজুত করে রাখা হল? এমনই প্রশ্ন এখন মাথাচাড়া দিচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার, মালদার কালিয়াচকের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা । পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৩৩ লক্ষ। পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হওয়া এই টাকার সঙ্গে মাদক কারবারের যোগ রয়েছে। মাদক বিক্রি করে এই টাকা জমা করা হয়েছিল। এই টাকা দিয়ে ফের মাদক কেনা হত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পাশাপাশি, এই মাদক কোথায় বিক্রি করা হয়েছে? এর পেছনে আর কারা জড়িত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জসিমুদ্দিন আহমেদ ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কালিয়াচকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজু ওরফে ইব্রাহিম নামে এক যুবককে খুঁজছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। এর আগেও রাজুর নামে মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। জসীমউদ্দীন আহমেদের নিকট আত্মীয় এই রাজু। কালিয়াচক থানার শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা রাজু। কালিয়াচকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত দুই জনের ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ মালদা জেলা আদালতের।
আরও পড়ুন:গ্রুপ ডি-র শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ফের তালিকা প্রকাশ SSC-র