Kolkata News: দু চাকা থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, আগামীকাল থেকে কলকাতায় বাড়ছে পার্কিং ফি
শনিবার থেকে কলকাতায় আরও দামি হচ্ছে পার্কিং ফি। দু চাকা থেকে চার চাকা, বাস থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই বর্ধিতহারে দিতে হবে পার্কিং ফি।
![Kolkata News: দু চাকা থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, আগামীকাল থেকে কলকাতায় বাড়ছে পার্কিং ফি parking fees will increase in Kolkata from tomorrow Kolkata News: দু চাকা থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, আগামীকাল থেকে কলকাতায় বাড়ছে পার্কিং ফি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/03/31/69b6b6d66205325eacca1098af032867168028138689951_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: আগামীকাল থেকে কলকাতায় (Kolkata) বর্ধিত হারে দিতে হবে পার্কিং ফি। মোটরবাইক, গাড়ি, বাস, লরি সবেরই পার্কিং ফি বেড়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সময় গাড়ি পার্কিং লটে রাখার প্রবণতা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। অন্য়দিকে, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও কড়া অবস্থান নিল কলকাতা পুরসভা (KMC)।
বর্ধিত হারে দিতে হবে পার্কিং ফি: শনিবার থেকে কলকাতায় আরও দামি হচ্ছে পার্কিং ফি। দু চাকা থেকে চার চাকা, বাস থেকে পণ্য়বাহী গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই বর্ধিতহারে দিতে হবে পার্কিং ফি। আগে যেখানে প্রতি ঘণ্টায় মোটরবাইক রাখার জন্য় দিতে হত ৫ টাকা, এখন, সেখানে, প্রথম-দু-ঘণ্টার জন্য় ১০ টাকা। তিন ঘণ্টা রাখলে দিতে হবে ৪০ টাকা। ৪ ঘণ্টার জন্য় ৬০ টাকা। ৫ ঘণ্টার জন্য় ৮০ টাকা। আর ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে, তারপর ঘণ্টা পিছু দিতে হবে ৫০ টাকা করে। চারচাকা গাড়ির ক্ষেত্রে আগে ঘণ্টায় ১০ টাকা পার্কিং ফি দিতে হত। এবার প্রথম দু ঘণ্টার জন্য় ২০ টাকা। তিন ঘণ্টায় ৮০ টাকা।৪ ঘণ্টায় ১২০ টাকা৫ ঘণ্টায় ১৬০ টাকা এবং তারপর ঘণ্টা পিছু অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে।
পুরসভা সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সময় গাড়ি পার্কিং লটে রাখার প্রবণতা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। শুধু ২ চাকা বা চার চাকার ক্ষেত্রেই নয়। বাস ও পণ্য়বাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও বেড়েছে পার্কিং চার্জ। বাস বা লরি রাখার জন্য় আগে যেখানে ঘণ্টাপিছু পার্কিং ফি ছিল ২০ টাকা। সেটা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা। ৪ ঘণ্টা বাস বা লরির জন্য় এবার থেকে দিতে হবে ২৪০ টাকা। ৫ ঘণ্টায় ৩২০টাকা। ৫ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিছু অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে। পুর কর্তাদের অনুমান, পার্কিং ফি বৃদ্ধির ফলে, যে বিপুল পরিমাণ গাড়ি রাস্তায় বের হয়, তার সংখ্য়া কিছু হলেও কমবে। বাতাসে দূষণের মাত্রাও কমবে।
অন্য়দিকে, বেআইনি নির্মাণ নিয়েও কড়া পুরসভা। এক বাসিন্দার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেএমসির আধিকারিকদের কার্যত ভর্ৎসনা করলেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা, সম্প্রতি টক টু মেয়রে ফোন করে অভিযোগ করেন, তাঁর ফ্ল্য়াটের কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে মেয়র জানতে পারেন, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পাননি গ্রাহক। এই ঘটনায় পুরসভার আধিকারিকদের ওপর চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। মেয়র বলেন, “আমি বারবার বলেছি কোন কিছু ইলিগ্যাল হলে যার এলাকায় হচ্ছে তাকে শোকজ করুন আজ পর্যন্ত সেটা হল না। যে তার চাকরি কেন যাবে না এই অবৈধ নির্মাণ হল যেখানে। ভেঙে দিন সেই লোকটার কি দোষ প্রোমোটার ইল্লিগাল করেছে বলে সেই লোকটা সাফার করবে কেন? আর সেই হেনস্থায়ী বা হবে কেন। সেই প্ল্যান দেখে ফ্ল্যাটটা বুক করেছে এটা তার দোষ। প্ল্যান দেখে ফ্ল্যাটটা কিনেছে আপনার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আপনার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পয়সা খেয়ে চুপ করে বসে ছিল প্রোমোটার বাড়ি করে দিচ্ছে। এখন সেটা রেগুলাইজ করার জন্য এনার কম্পিটিশন সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না কেন হবে। ওঁরা যে ঢুকতে পারছেন না একটা লোক কতদিন সাফার করবে।’’ মেয়র জানিয়েছেন, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠলে থানায় নোটিস দিয়ে জানাবেন বোরো ইঞ্জিনিয়াররা। গাফিলতি প্রমাণ হলে চাকরি পর্যন্ত যেতে পারে অভিযুক্তের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)