Partha Chatterjee: '৩০০ দিনের বেশি বিনা বিচারে আটকে আছি', ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন পার্থ
Partha Chatterjee on Recruitment Scam Case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ আলিপুর সি জে এম আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতে যাওয়ার পথে ক্ষোভ উগরে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : 'আমি ৩০০ দিনের বেশি বিনা বিচারে আটকে আছি, সেটা নিয়ে বলুন', আদালতে যাওয়ার পথে আজ ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ আলিপুর সি জে এম আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতে যাওয়ার পথে ক্ষোভ উগরে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) সিবিআইয়ের (CBI) তলব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তর দেননি পার্থ।
সম্প্রতি রবীন্দ্রজয়ন্তীর আগের দিন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল কবিগুরুর-কবিতা। সেই সময় আদালতে তোলার সময়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে উঠেছিল চোর স্লোগান। সেই সময় 'সোনার তরী' কাব্যগ্রন্থের 'বিম্ববতী' কবিতার পংক্তি আওড়ান জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'আমি শুধু একটা কবিতার লাইন বলি। মসী লেপি দিল তবুও ঢাকিল না ছবি/ অগ্নি দিল তবু গলিল না সোনা।'
কিন্তু, এই পংক্তির মাধ্যমে কার কথা বোঝাতে চাইলেন তিনি? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রাকেও দরাজ সার্টিফিকেট দেন জেলবন্দি পার্থ।
এদিকে, বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আবেদনে বলা হয়েছে, অভিষেককে রোজই সমন পাঠানো হচ্ছে। শনিবার তিনি ৯ ঘণ্টা কাটিয়েছেন। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার আবেদন জানানো হয়। অভিষেকের তরফে আবেদনে বলা হয়, এর আগে দার্জিলিঙে থাকাকালীনও তিনি সমন পেয়েছেন। শুক্রবার অভিষেকের মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআই তদন্ত চলবে, জানাল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জুন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্হা রায়ের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে আগের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
আরও পড়ুন, আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?