Paschim Bardhaman: সরকারি জমি দখল করে নির্মাণকাজের অভিযোগ! ভাঙচুরে হাত মেলাল বিজেপি-তৃণমূল?
Illegal Construction:ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে শাসকদলের সেটিং রয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে সিপিএম। জমি দখলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, পশ্চিম বর্ধমান: সরকারি জমি দখল করে নির্মাণকাজ করছেন এক ব্যবসায়ী, এই অভিযোগ তুলে একযোগে সেখানে চড়াও হয়ে নির্মাণ ভাঙলেন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। সঙ্গে সিপিএম কর্মীরাও ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে শাসকদলের সেটিং রয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে সিপিএম। জমি দখলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ী।
একসঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল:
সরকারি জমি দখল রুখতে একযোগে পথে নামল তৃণমূল-বিজেপি! পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দুর্গাপুরে এমনই ছবি দেখা গেল। দুর্গাপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মামড়া বাজার এলাকায় সরকারি জমি দখল করে নির্মাণকাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার একযোগে সেখানে চড়াও হয় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই জমি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের। পুলিশের সামনেই অস্থায়ী টিনের শেড ভেঙে দেন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা।
স্থানীয় বিজেপি যুব মোর্চার নেতা সমীর গড়াই বলেন, 'স্থানীয় হিসেবে একসঙ্গে গেছি, সিপিএম কর্মীরাও সঙ্গে ছিলেন।' যদিও সিপিএম উলটে শাসকদলকেই বিঁধেছে। পশ্চিম বর্ধমান সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, 'দল তৃণমূলের সঙ্গে যেতে অনুমতি দেয়নি। তৃণমূলই আগে ব্যবসায়ীর সঙ্গে সেটিং করেছিল। স্থানীয় হিসেবে কেউ গিয়ে থাকতে পারে। আমাদের পতাকা নেই।'
যাঁর বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ, সেই ব্যবসায়ীও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বাপি সরকার বলেন, 'শাসকদলকে আগে টাকা দিয়েছি, ওরা তোলাবাজি করছে, আবার টাকা চাইছে, দিইনি বলে ওরাই ভুল বুঝিয়ে বিজেপিকে এনেছে।'
আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি ও রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই জমি দখলের কোনও অভিযোগ পাননি। অভিযোগ থাকলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হত। যদি ওটা সরকারি জমি হয়ে থাকে তাহলে নির্মাণ ভেঙে দিয়ে ওঁরা ঠিকই করেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চর বিক্রির অভিযোগ:
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের মদতে নদীর চর বিক্রির অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপের বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে। ভূমিরাজস্ব দফতরের পাশাপাশি বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএলএলআরও। চর উদ্ধার করে, বনসৃজন হবে, জানিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে মিড ডে মিল, আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ। একের পর এক ক্ষেত্রে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের একাংশের। এই প্রেক্ষিতে এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের মদতে নদীর চর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের রাজনগর-শ্রীনাথ গ্রামে।
আরও পড়়ুন: 'ভাবছে, এভাবেই নির্বাচন জিতে যাবে', মেট্রোর পিলারের রঙের ইস্যুতে খোঁচা দিলীপের