(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Cattle Smuggling Case: বিচারকের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারলেন না ED-র আইনজীবী, ঝুলে রইল গরুপাচার মামলা দিল্লিতে সরানোর আবেদন
Asansol CBI Court: গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন নিয়ে আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে ধাক্কা খেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত রইল। আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতের বিচারকের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ED) আইনজীবী। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝুলে রইল গরুপাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের শুনানি। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আদালতে।
গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন নিয়ে আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে ধাক্কা খেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝুলে রইল মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের শুনানি। ED-র এক্তিয়ার নিয়ে এদিনও বিচারকের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারলেন না ED-র আইনজীবী।
শনিবার শুনানি চলাকালীন, ED-র আইনজীবীকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন বিচারক। তিনি জানতে চান, "CBI এই মামলায় যা বাজেয়াপ্ত করছে, আর আপনারা যার ভিত্তিতে মামলা করেছেন সেগুলো কি এক?" এর জবাবে ED-র আইনজীবী বলেন, "না আমরা শুধু আর্থিক দুর্নীতির দিকটা দেখছি।"
এর পর বিচারক জানতে চান, আইনের কোথায় লেখা আছে যে আর্থিক দুূর্নীতির তদন্ত একমাত্র ED-ই করতে পারে? তাতে আর্থিক দুর্নীতির একাধিক ধারা উল্লেখ করে ED-র আইনজীবী বিচারককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর যুক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারক। তিনি বলেন, "আইন অবশ্যই আছে। না হলে দেশজুড়ে ED এত তদন্ত করতে পারত না।" কিন্তু শুধুমাত্র ED-ই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবে , সেই আইনের তথ্য তিনি দেখতে চান।
এর পর বিচারক ED-র আইনজীবীকে কিছুক্ষণ সময় দেন বিভাগীয় অন্যান্য আইনজীবীর সাথে কথা বলার জন্য। প্রায় ১৫ মিনিট পর ফিরে এসেও, ED-র আইনজীবী সদুত্তর দিতে পারেননি। এর পরই, ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলা স্থগিত করে দেন বিচারক। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে।
এর আগে, অগাস্ট মাসেও গরুপাচার মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়ে ভর্ৎসিত হয় ED. কেন্দ্রীয় সরকার কি কোনও ক্ষমতা দিয়েছে তাদের, ইচ্ছা মতো যখন তখন যে কোনও আদালতে মামলা সরানো যায় কি, প্রশ্ন তোলেন বিচারক। শুধু তাই নয়, মামলার অধিকাংশ অংশ যখন আসানসোল সিবিআই আদালতে, অন্যত্র মামলা নিয়ে যাওয়ার আবেদন কেন, প্রশ্ন তোলে আদালত। ইডি-র আইনজীবীর উদ্দেশে সেবার বিচারক বলেন, "অন্য এজেন্সির মামলা ইচ্ছে মতো অন্য কোনও আদালতে নিয়ে যেতে চাইছেন কী করে? ৫০০ জন সাক্ষীকে নিয়ে অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তরিত করলে বিচারে দেরি হবে, দেরি হবে ট্রায়ালেও।"