Durgapur Incident: দুর্গাপুর 'গণধর্ষণ'কাণ্ডে এবার গ্রেফতার নির্যাতিতার সহপাঠী, কী ভূমিকা ছিল তার ?
Paschim Burdwan News: কিছুক্ষণ আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, সহপাঠীর ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।

পার্থপ্রতিম ঘোষ, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর 'গণধর্ষণ'কাণ্ডে এবার গ্রেফতার নির্যাতিতার সহপাঠী। ধৃত ওয়াসেফ আলি মালদার বাসিন্দা। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই সহপাঠীর ভূমিকা স্ক্যানারের মধ্যে ছিল। এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার বিবৃতি নেওয়া হয়। আজ তিনি গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় সহপাঠীর বিরুদ্ধে। সেই তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর, সহপাঠীর বক্তব্যে বেশকিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। শেষমেশ তাকে গ্রেফতার করা হল। অর্থাৎ, দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে 'গণধর্ষণ' মামলায় এর আগেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার গ্রেফতার করা হল নির্যাতিতার সহপাঠীকে। কিছুক্ষণ আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, সহপাঠীর ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এবার তাকে গ্রেফতার করা হল। কাল ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর এবার দুর্গাপুরের IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ফের রাজ্যের বুকে আরও এক হাড়হিম করা ঘটনা। দুর্গাপুরে মেডিক্য়াল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই ওই পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ! ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার ? ইতিমধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। রাতে সহপাঠীর সঙ্গে খেতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপরই ভয়ঙ্কর ঘটনা। ঝোপের মধ্যে ডাক্তারির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার সেই সহপাঠীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। শুরু থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিল এই সহপাঠী। পুলিশ সূত্রে দাবি, মালদার বাসিন্দা MBBS পড়ুয়া ওয়াসেফ আলির বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল। বন্ধুকে ওই পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে কেন তিনি চলে গিয়েছিলেন ? ক্যাম্পাসে গিয়ে কেন কাউকে ঘটনার কথা জানালেন না ? পুলিশেই বা খবর দিলেন না কেন? সেনিয়েও প্রশ্ন ছিল। মঙ্গলবার সন্ধেয় নির্যাতিতার ওই সহপাঠীকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার সন্ধে ৭টা ৫৮ মিনিট নাগাদ, এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোন নির্যাতিতা। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিতার সহপাঠী জানান, তাঁরা রাতের খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, শুরু থেকেই তাঁদের পিছু নেয় ৩ অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে প্রায় এক কিমি দূরে মোহনবাগান অ্যাভিনিউ। অভিযোগ, জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পুলিশ সূত্রে দাবি, কলেজের সিসিটিভি-তে দেখা গেছে, রাত ৮টা ৪২ মিনিটে ক্যাম্পাসে একাই ফিরে আসছেন নির্যাতিতার সহপাঠী। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের সময় সেখানে আরও ২ জন চলে আসে। অভিযোগ, তখনই তরুণীর মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায় ৩ অভিযুক্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা আবার ফিরে আসে। এরপর নির্যাতিতার মোবাইল ফোন থেকেই তাঁর সহপাঠীকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ক্যাম্পাসের CCTV ফুটেজে দেখা যায়, এর ঠিক ৪১ মিনিট পর, দেখা যায় ক্যাম্পাসে একসঙ্গে ঢুকছেন নির্যাতিতা এবং তাঁর সহপাঠী। কয়েক মিনিটের মধ্য়েই গার্লস হস্টেলের দিকে পা বাড়ান নির্যাতিতা। এই ঘটনায় আগেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার গ্রেফতার করা হল নির্যাতিতার সহপাঠীকেও।






















