Paschim Medinipur: বেআইনিভাবে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ২
Ghatal News: গাছ কাটার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকেই নিশানা করেছে বিজেপি ও সিপিএম।
সোমনাথ দাস, ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর: বেমালুম সাফ হয়ে যাচ্ছে গাছ। একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কিছুদিন অন্তর অন্তর গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানা গড়বেতা তিন নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার ঘটনা। ওই এলাকায় গুইহাদহ গ্রামে একটি আমের বাগান রয়েছে। সেই বাগানের ভিতর থেকেই কয়েকটি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছিল। রবিবার সেই খবর পান বন দফতরের আধিকারিকরা। একটি মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। ওই ঘটনায় ওই মিলটিকে বন্ধ করে দেয়। কেটে নেওয়া গাছগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেন বন দফতরের আধিকারিকরা। রাতে গড়বেতা থানার পুলিশ বনদফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে মিল মালিক ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে।
একই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বারবার বেআইনি ভাবে গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, 'যেই গাছ কাটুক না কেন তদন্ত করে তাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেব।' পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা কোনও গাছ কাটার অনুমতি দিইনি। যদি কেউ গাছ কেটে থাকে তাহলে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি, প্রশাসন আইনি রাস্তায় ব্যবস্থা নেবে।'
বিরোধীদের দাবি:
যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ওই পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি নেতা এবং বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক গৌতম কৌরি বলেন, 'তৃণমূলের কাজই চুরি করা। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলার পরে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সামনে। পঞ্চায়েত ভোট আসছে তাই তাদেরকে আবার জামিনে ছেড়ে দিয়েছে নতুন করে চুরি করার জন্য।' আক্রমণ শানিয়েছে সিপিএমও। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, 'আমাদের আমলে ওই বাগান তৈরি হয়েছিল। আমের গাছগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য পাশে বেশ কিছু বড় বড় গাছের প্রাচীর করা হয়েছিল যাতে আমের গাছগুলোর ক্ষতি না হয়। তৃণমূল লোকেরা সে সমস্ত গাছ কেটে সাফ করে দিয়েছে।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'এদের প্রধান যিনি তিনিই যেখানে চুরি করছেন চুনোপটিদের বারণ করলে তারা কি শুনবে? এভাবেই চোরদের রাজত্ব চলছে।'
যে মিলে এই গাছগুলি পাওয়া গিয়েছে সেই মিল মালিক ও তাঁর ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। যদিও মিল মালিকের ছেলে আমজাদ খানের দাবি, এলাকার একটি ক্লাবের ছেলেরা গাছ কেটে তাঁর মিলে রাখে চেরাই করার জন্য। তাঁর দাবি, গাছগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে তিনি প্রথমে বারণ করেছিলেন। কিন্তু চাপে পড়েই তিনি এগুলো রাখতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'যদি বুকের পাটা থাকে, আপনি আসুন', ঘেরাও-মন্তব্যের পাল্টা নিশীথের