Passport Forgery: পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে কিংপিন সমরেশের সঙ্গে ধৃত প্রাক্তন এসআই- এর আর্থিক লেনদেন !
Fake Passport Racket: পুলিশের দাবি, ৫১ জনের বেআইনি ভেরিফিকেশন হয়েছে সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তৎকালীন ভেরিফিকেশন অফিসার আব্দুল হাইয়ের মাধ্যমে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাইয়ের অ্যাকাউন্টে গত এক-দু’ বছরে জমা পড়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের অন্যতম কিংপিন সমরেশ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় টাকা যেত প্রাক্তন এসআই- এর কাছে। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের রেট ছিল মাথা পিছু ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পুলিশের দাবি, ৫১ জনের বেআইনি ভেরিফিকেশন হয়েছে সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তৎকালীন ভেরিফিকেশন অফিসার আব্দুল হাইয়ের মাধ্যমে। বেআইনিভাবে কাদের কাদের পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল? তারা এখন কোথায় রয়েছে? পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে এবার সেই বেআইনি পাসপোর্ট হোল্ডারদের সন্ধান পেতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। চলছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত প্রাক্তন এসআই আব্দুল হাই-কে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের দরও বেঁধে দিয়েছিলেন প্রাক্তন এসআই আব্দুল হাই। টাকা নিয়ে কাদের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল? এবার সেই জাল পাসপোর্টধারীদের সন্ধান পেতে চাইছে পুলিশ। জোড়-বিজোড়ের খেলাতেই রাশি রাশি পাসপোর্ট জালিয়াতি করতেন প্রাক্তন এসআই। নিয়ম অনুুযায়ী বিজোড় তারিখে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের ফাইল দেখত স্থানীয় থানা। জোড় তারিখে ফাইল এলে, ভেরিফিকেশন করতেন সিকিওরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের অফিসার। এই ক্ষেত্রে এনকোয়ারি অফিসার থাকতেন পাসপোর্ট জালচক্রে ধৃত আব্দুল হাই। পরিকল্পনা করেই পাসপোর্টের ফাইল জোড় তারিখে ফেলার চেষ্টা করত জাল পাসপোর্ট চক্র, খবর পুলিশ সূত্রে। জাল পাসপোর্টের কারবারে লিঙ্কম্যান খোদ পুলিশই। আড়াই বছর সিকিওরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে (পাসপোর্ট সেনশন) চাকরি করেছেন আব্দুল হাই। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর অবসর নেন তিনি।
কলকাতা পুলিশের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সদর দফতরে বসেই জাল কারবারের ব্যবসা ফেঁদেছিলেন আব্দুল হাই। টাকার বিনিময়ে রেট চার্ট ঠিক করে জালিয়াতদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলত বেআইনি ভেরিফিকেশন। দেওয়া হতো জাল পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। সমরেশ বিশ্বাস, মনোজ গুপ্ত, মোক্তার আলম, ধীরেন ঘোষ-সহ আরও অনেকেই। এই ধীরেনের সঙ্গে আবার মিলেছে আন্তর্জাতিক যোগ। ১০ বছর ইতালিতে ছিলেন তিনি। ইউরোপ-সহ অন্যান্য অনেক দেশেই বহু লোককে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন এই ধীরেনই। বেহালার বাসিন্দা মনোজ গুপ্তকে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করে খোঁজ মেলে ধীরেন ঘোষের।