PM Modi: 'স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করায় মাস্টারি করেছে তৃণমূল', দুর্নীতি ইস্যুতে সুর চড়ালেন মোদি
Krishnanagar Rally: আরামবাগের পর আজ কৃ্ষ্ণনগরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষ্ণনগরের সরকারি কলেজের মাঠে তাঁর সভার আয়োজন করা হয়
কৃষ্ণনগর : কৃষ্ণনগরের সভা থেকেও তৃণমূল কংগ্রেসকে আগাগোড়া বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উঠে এল দুর্নীতির প্রসঙ্গে। আর এই ইস্যুতে বাংলাক শাসক দলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এখানে তৃণমূল কীভাবে পশ্চিমবঙ্গকে বদনাম করে রেখেছে তা দেশবাসীও জানুক। এই তৃণমূল সরকার সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে তোলে। স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করায় মাস্টারি করেছে তৃণমূল।"
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন দুর্নীতি। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে দিনের পর দিন কাঠগড়ায় উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের নাম। নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। এদিকে ১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এক্ষেত্রে হিসাব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। উভয় সরকারের অবস্থানের জেরে গ্রামীণ অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়েছে বলে মত রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের।
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল আরামবাগের পর আজ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা করেন তিনি। গতকালও মোদির নিশানায় আগাগোড়া ছিল রাজ্যের শাসকদল। একাধিক প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। কৃষ্ণনগরেও তার অন্যথা হল না। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আপনারা ভাবতে পারবেন না যে, এখানে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। যারা জন্মায়নি তাদের কার্ড বানিয়ে দিয়েছে। যে টাকা গ্রামের গরিব মজদুরদের পাওয়ার কথা ছিল, সেটা তৃণমূলের তোলাবাজরা লুঠে নিয়েছে। তৃণমূল সরকার লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিতে নিজেদের স্টিকার লাগানোর।"
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, "যে ভাবে তৃণমূলের সরকার চলছে, তাতে বাংলার মানুষ হতাশ। বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে বারবার বিপুল জনাদেশ দিয়েছে। কিন্তু টিএমসি বাংলার মানুষের সঙ্গে অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা ও পরিবারতন্ত্র।" সুর চড়ান সন্দেশখালি ইস্যুতেও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে বাংলার মায়েদের ভোট নিয়েছে। কিন্তু আজ মা-মাটি-মানুষ কাঁদছে। সন্দেশখালির মায়েদের কথা তৃণমূল শোনেনি। এখানে পুলিশ নয়, অপরাধী ঠিক করে, কখন গ্রেফতার হবে। রাজ্য সরকার চায়নি, সন্দেশখালির অপরাধী গ্রেফতার হোক। কিন্তু সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনে পিছু হঠে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। দেশে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও অভিযান চলছে। কিন্তু বাংলার সরকার এখানে চালু হতে দেয়নি।"