SujoyKrishna Bhadra: হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি পেশ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
Kalighater Kaku: অসুস্থতার কারণে আদালতে আসতে পারেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। যার জেরে থমকে যায় চার্জ গঠন।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam Case) চার্জগঠন শুরু । চার্জ গঠন করা হল 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujoykrishna Bhadra) বিরুদ্ধে । আজ হাসপাতাল থেকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় তাঁকে। পেশ করা হলে চার্জ গঠন করা হল বলে তাঁকে জানিয়ে দেন বিচারক। এর পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোন কোন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হচ্ছে। তাঁকে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, তিনি দোষী না নির্দোষ ? উত্তরে সুজয়কৃষ্ণ জানান যে তিনি নির্দোষ। এরপর বিচারক তাঁকে জানিয়ে দেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। বাকিদের বিরুদ্ধেও আজই চার্জ গঠন করা হবে।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ED-র মামলায়, গত ১৩ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। ওইদিনই সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, ৩১ ডিসেম্বরের আগে চার্জ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিম্ন আদালত। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে গত সোমবার সব অভিযুক্তকে ইডির বিশেষ আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলরা হাজির হলেও, অসুস্থতার কারণে আদালতে আসতে পারেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। যার জেরে থমকে যায় চার্জ গঠন।
ওই দিনই বিচারক নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর চার্জগঠন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ২ জানুয়ারি আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর আইনজীবী বলেন, তাঁর (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র) বাইপাস সার্জারি পরবর্তী সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর প্রেসমেকার ১০ বছর পুরনো। ব্যাটারি কাজ করছে না। এরপরই ED-র আইনজীবী বলেন, বিএম বিড়লা হাসপাতালের রিপোর্টে শেষ অংশটা দেখুন।
আদালত সূত্রে দাবি, বিএম বিড়লা হাসপাতালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নেই। এই মুহুর্তে হৃদযন্ত্রের সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অজ্ঞান অবস্থায় এসেছিলেন। অন্য কোনও সমস্যা আছে কি না, তা জানতে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ED-র বিশেষ আদালতে, এমনই ঠিক হয়। জেলবন্দি অভিযুক্তদের ভার্চুয়াল হাজিরা ও জামিনে মুক্তদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে অ্য়াপোলো হাসপাতালের রিপোর্ট তলব করেন বিচারক।