Primary TET Exam: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধির খসড়ায় একাধিক রদবদল, TET-এর জন্য বরাদ্দ নম্বর ৫ থেকে বেড়ে হল ২৫
Primary TET: কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত নিয়োগ বিধি প্রকাশিত হবে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দেদার গুরুত্ব 'বাড়ল' TET-এর। TET-এর জন্য বরাদ্দ নম্বর ৫ থেকে বেড়ে ২৫ হল।
প্রাথমিকে নিয়োগ বিধির খসড়ায় একাধিক রদবদল ঘটানো হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বন্ধ করা হল এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির জন্য বরাদ্দ নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ওয়েটেজ ১০ নম্বর থেকে কমে হল ৫। কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত নিয়োগ বিধি প্রকাশিত হবে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। (Primary Teachers Recruitment)
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বিধির একটি খসড়া সামনে এসেছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, TET-এর গুরুত্ব বেড়েছে গিয়েছে একধাক্কায় অনেকটাই। আগে যেখানে TET-এর জন্য ৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল, তা বেড়ে ২৫ করা হয়েছে। অর্থাৎ একধাক্কায় ২০ নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (Primary TET)
উল্লেখযোগ্য ভাবে, শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে যে নম্বর বরাদ্দ ছিল, তা কমানো হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের জন্য আগে বরাদ্দ ছিল ১০ নম্বর, তা কমিয়ে করা হয়েছে ৫। অর্থাৎ আগে ৫০ নম্বর বরাদ্দ ছিল, এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৪০। ইন্টারভিউয়ের আগে যুক্ত করা হয়েছে আরও ১০ নম্বর।
এক্সট্রা কারিকুলারের জন্য এতদিন যে ৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল, এবার তাও বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যে নতুন নিয়োগ বিধির ভিত্তিতে প্রাথমিকের TET উত্তীর্ণ, যাঁরা শিক্ষকতা করতে মুখিয়ে, তাঁদের জন্য একাধিক রদবদল ঘটানো হল। কিছু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পাঁচ বছরের বেশি যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের প্রত্যেককে TET পাশ করতে হবে, নইলে চাকরি থেকে সরে যেতে হবে তাঁদের। যদিও অবসরে পাঁচ বছরের কম সময় বাকি রয়েছে, এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছাড় দেওয়া হয়।
শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের ফলে রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। সেই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় রাজ্য শিক্ষা দফতরে। সেই নিয়ে রাজ্য সরকার যদিও ইতিমধ্যেই রিভিউ পিটিশন দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তার আগেই TET-এর গুরুত্ব বাড়ানো হল। আগামী দিনে এই মর্মে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি আসবে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘ সময় টালমাটাল অবস্থা দেখেছে গোটা রাজ্য। সেই আবহেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই নতুন নিয়োগ পর্বের বিধিতে ইতিমধ্যেই বদল ঘটিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রাথমিকের ক্ষেত্রেও বিধিবদল নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার খসড়া সামনে এসেছে।






















